নিউইয়র্ক     শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণসীমা বাড়িয়ে দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা পেল যুক্তরাষ্ট্র

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩ | ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ | ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ঋণসীমা বাড়িয়ে দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা পেল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি সংগৃহীত

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে দেশটির ঋণসীমা বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার (৩১ মে) ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণসীমা বাতিল করে কিছুটা স্বস্তিতে এসেছে দেশটি।

সিনেটে বিলটি পাশ করাতে রিপাবলিক সমর্থিত নিম্নকক্ষে ৩১৪-১১৭ ভোটে বিলটি পাশ করা হয়। আর এর মধ্যদিয়ে বহুল আলোচিত ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি বিলটি পাশ হয়। এটিকে ডেবট সিলিং বিল বলা হচ্ছে। এদিকে এ সপ্তাহেই বিলটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে যাওয়ার পর পাশ করে এটিকে আইনে পরিণত করা হবে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলছেন, এ চুক্তিটি মার্কিন জনগণ ও অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে। আমি দ্রুত এটিকে সিনেটে পাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করতে পারি।

এদিকে এই বিল পাস না হলে বা ঋণসীমা বাড়ানো না হলে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটিকে ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঋণখেলাপির তালিকায় প্রবেশ করতে হত । আর তা নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসায় ১ জুনের মধ্যে যেভাবেই হোক সমাধানের জন্য সময়সীমা বাতলে দেওয়া হয়েছিল। ঋণের সর্বোচ্চ সীমা না বাড়ালে তীব্র অর্থ সংকটে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সেনাবাহিনী থেকে সরকারি কর্মচারী- সবার বেতন বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সোশ্যাল সিকিউরিটি চেক দেওয়াও সম্ভব হত না। ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা ছিল।

এর আগে করোনা মহামারির পর সাম্প্রতিক ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মন্দার মুখোমুখি দাঁড়ায় মার্কিন অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা (ডেবট সিলিং) বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও এতে বিরোধিতা করেছিলেন রিপাবলিকানরা। এ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বহু আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। পরে বিলটিকে বাইপারটিসান করার প্রস্তাব দেন বাইডেন। অর্থাৎ, রিপাবলিকান স্পিকার ম্যাকার্থি এবং ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট একত্রে বিলটি প্রস্তাব করেন কংগ্রেসে।

বিলটি পাশ করায় আগামী ২০২৫ সালের পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণসীমা তুলে দেওয়া হলো। এ প্রসঙ্গে বুধবার ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জিম ম্যাক গোভার্ণ বলেন, রিপাবলিকানরা আমাদেরকে চাপ দিয়ে আসছিল যেখানে আমরা জানি না মার্কিনিরা খেতে পারবে কি না। এর আগের গত মঙ্গলবার নন পার্টিসান কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস জানায়,আইনটি পাশ হলে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বেঁচে যাবে। সূত্র : রয়টার্স

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন