নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণখেলাপি হওয়ার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩ | ০১:১৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ | ০১:১৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ঋণখেলাপি হওয়ার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র

কংগ্রেস উদ্যোগ না নিলে আগামি ৫ই জুন যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন। এর আগে ঋণের সীমা বাড়াতে হবে বা ঋণগ্রহিতা কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা স্থগিত করতে হবে। তা না হলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রিপাবিলকান দলীয় স্পীকার কেভিন ম্যাকার্থির মধ্যে একাধিক বৈঠকের পরও ঋণসীমা বৃদ্ধির ব্যাপারে একমত হতে পারেনি উভয় পক্ষ। কংগ্রেস ও সিনেট নেতাদের পাঠানো চিঠিতে ইয়েলেন বলেছেন, ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের সীমা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নিতে হবে। যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নগদ অর্থ ফুরিয়ে যেতে পারে। গত ২৪মে সর্বশেষ প্রাপ্ত হিসেব অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলে নগদ জমা ছিল মাত্র ৪৯.৫ বিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ জন ধনী বিলিয়নারের কাছে তার চেয় বেশী অর্থ সঞ্চিত রয়েছে।

ঋণসীমা নিয়ে আগের অচলাবস্থার অভিজ্ঞতা আমাদের বলে, শেষ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করলে ব্যবসার ক্ষতি হয়, ভোক্তাদের আস্থা নষ্ট হয়, করাদাতাদের ঋণ নেওয়া কষ্টকর হয় এবং সর্বোপরি যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কংগ্রেসকে পাঠানো চিঠিতে ট্রেজারি সেক্রেটারি ইয়েলেন লিখেছিলেন, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুনের ১ তারিখের মধ্যে কংগ্রেস ঋণসীমা নির্ধারণ না করলে সরকার দায় পরিশোধে ব্যর্থ হবে—এটিই এখন সবচেয়ে গুরুতর শঙ্কার বিষয়। পরে অবশ্য সেই তারিখ পরিবর্তন করে ৫ই জুন নির্ধারণ কেরেছেন।

এর আগে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রিপাবলিকান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি, হাউস ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফ্রিস, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার ও রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল অংশ গ্রহণ করেছিলেন ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে। গত সপ্তাহে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ঋণসীমা নির্ধারণে বিল পাস করে রিপাবলিকানরা। দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে এয়ার-ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের ব্যয় কমানোর প্রস্তাব রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিণে থাকা সিনেট ও প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলছেন, তাঁরা এই বিল অনুমোদন করবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে; কিন্তু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমোক্র্যাট দলের। ফলে বাইডেনের পক্ষে সহজে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। রিপাবলিকানরা বলেছে, ডেমোক্র্যাটরা সরকারি ব্যয় কমানোর অঙ্গীকার না করলে তারা ঋণের সীমা বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দেবে না। ঋণের সীমা না বাড়লে দেশটির সরকার গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়বে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চান, কংগ্রেস বিনা শর্তে ঋণের সীমা বৃদ্ধি করুক। তিনি বলেন, ঋণের সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে আপস বা শর্ত দেওয়া যাবে না। এই বিষয় সুরাহা হওয়ার পরই কেবল বাজেট হ্রাসের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

সাথী/পরিচয়

শেয়ার করুন