মাউনা লোয়া – বিশ্বের বৃহত্তম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি – ১৯৮৪ সালের পর ফের অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে এই আগ্নেয়গিরি থেকে । লাভা আগ্নেয়গিরির পাশ দিয়ে ১,০০০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রবাহিত হচ্ছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটি এখনও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বড় হুমকি নয়। মাউনা লোয়া, যার অর্থ হাওয়াইয়ান ভাষায় “দীর্ঘ পর্বত”, বিশ্বের বৃহত্তম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। এটি ২,০৩৫ বর্গ মাইল জুড়ে বিস্তৃত এবং এটি পাঁচটি আগ্নেয়গিরির একটি শৃঙ্খল যা হাওয়াইয়ের বিগ আইল্যান্ড গঠন করে।
এই একটি আগ্নেয়গিরি একা পুরো দ্বীপের অর্ধেক নিয়ে গঠিত। মাউনা লোয়ার চূড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩,৬৮০ ফুট উপরে, তবে এর ভিত্তি সমুদ্রের তলায়। সেখান থেকে চূড়া পর্যন্ত এর উচ্চতা ৩০ হাজার ৮৫ ফুট। এটি মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও লম্বা। মাউনা লোয়ার উপরে আকাশে মেঘের রাশি এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। কবে এই অগ্ন্যুৎপাত বন্ধ হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে শীঘ্রই পরিস্থিতির বদল ঘটবে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
অনেক আগ্নেয়গিরির মতো মাউনা লোয়া বিস্ফোরক অগ্ন্যুৎপাত করে না, যেখানে লাভা ছাই এবং গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। পরিবর্তে, লাভা আগ্নেয়গিরির পাশ দিয়ে মোটামুটি ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়। মাউনা লোয়া যে গ্যাস নিঃসরণ করছে তা থেকে স্থানীয় মানুষ ঝুঁকিতে থাকতে পারে। হাওয়াইয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে যে বাতাসের মান এখনও ভাল, তবে যে কোনও সময় এটি আরও খারাপ হতে পারে। যদি তা হয়, তাহলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাইরের ক্রিয়াকলাপ এড়াতে এবং দরজা-জানালা বন্ধ রেখে বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । প্রথম রেকর্ডকৃত অগ্ন্যুৎপাতের তারিখ অনুযায়ী মাউনা লোয়া ১৮৪৩ সাল থেকে ৩৩ বার অগ্ন্যুৎপাত করেছে । গড়ে প্রতি সাড়ে পাঁচ বছরে এখান থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়। সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। সূত্র : বিবিসি