সম্প্রতি এক পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে ছাত্রজীবনের প্রথম দিককার কথা বলেছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তিনি বলেন, ছোটবেলায় তাঁর অনুপ্রেরণা ও ইচ্ছাশক্তির অভাব ছিল। পড়ালেখায় ভালো করার জন্য এক শিক্ষক তাঁকে বারবার চাপ দিতেন। নিজের পডকাস্ট ‘আনকনফিউজ মি উইথ বিল গেটস’–এর দ্বিতীয় পর্বে খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান খানের সঙ্গে আলাপ করেন বিল গেটস। খান একাডেমি একটি অলাভজনক অনলাইন শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম। তাঁদের আলোচনার বিষয় ছিল কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো একটি প্রযুক্তি শিশুদের শিখতে সাহায্য করতে পারে।
বর্তমানে ৬৭ বছর বয়সী বিল গেটস বলেন, ‘আগে আমি অঙ্ক করার ক্ষেত্রে খুব অলস ছিলাম। অষ্টম শ্রেণিতে এক শিক্ষক আমাকে বলেন, তুমি এত অলস কেমনে? তুমি তো চাইলে এই বিষয়ে অনেক ভালো করতে পারবে। আমি বলেছিলাম, “কিন্তু আমরা তো মজার কিছুই করছি না”।’
গেটস বলেন, সেই শিক্ষক তাঁকে পড়ার জন্য বিভিন্ন বই দিতেন। আরও ভালো করার জন্য সব সময় চাপ দিতেন।
পরবর্তী জীবনের সাফল্যের পেছনে সেই শিক্ষককের অবদানের কথা স্মরণ করে বিল গেটস বলেন, ‘তিনি খালি ভাবতেন, আমি সময় নষ্ট করছি। তাঁর এ চিন্তা আমার পড়ালেখা নিয়ে পুরো ধারণা বদলে দেয়।’ গেটস মজা করে বলেন, ‘আমার মনে হতো, তুমি যত কম চেষ্টা করবে তত বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবে!’
১৯৭৫ সালে গেটস হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচমকা পড়াশোনা ছেড়ে দেন। বন্ধু পল অ্যালেনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন মাইক্রোসফট।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস বলছিলেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। তবে, কম্পিউটারের বিপ্লবে নিজের কোনো ভূমিকা না থাকা নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগতেন।
বিল গেটস শিক্ষার সেরাটা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কলেজের চার বছর একেবারে পড়াশোনার পেছনে লেগে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
মাইক্রোসফটের শুরুর সময়টাতে গেটস কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ৩০–৪০ বছর বয়সে কে কত কম ঘুমাতে পারে এ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতেন তিনি। বেশি ঘুমানো ‘আলস্য’ এবং এটি ‘অপ্রয়োজনীয়’—এমন দৃষ্টিভঙ্গিই ছিল তাঁর।
বিল গেটস তাঁর পডকাস্টের আগের পর্বে বলেছেন, সবকিছু নিয়ে ছুটি নিয়ে এখন তিনি নিজের ভালো থাকার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য দৈনিক ঘুমের হিসাব রাখছেন।