আজও দাখিল হয়নি সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন। এ নিয়ে ৯৭ বার বদলেছে তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ। অথচ হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কবে এই হত্যা মামলার বিচার হবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না- এমন মন্তব্য করে এই প্রতিবেদকের কাছে আহাজারি করেছেন সাগর সারোয়ারের মা সাংবাদিক সাগরের মা এবং মেহেরুন রুনির শাশুড়ি সালেহা মনির।
আজ রবিবার (৯ এপ্রিল) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট খন্দকার শফিকুল আলম প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রাশিদুল আলম নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।
এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য গত ৫ মার্চ ৯৬ বারের মতো তারিখ নেয় র্যাব। সেদিন আদালত আজকের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত শেষ করতে দেরি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন আলাদা দুটি আদালত।
এ বিষয়ে সাগরের মা বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত কবরের কাছে যাইনি। প্রতিজ্ঞা ছিল সাগরের খুনিকে দেখেই কবর জিয়ারত করতে যাব। কিন্তু সেটি আদৌ পারব কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।’ তিনি বলেন, র্যাব যদি না পারে তাহলে ছেড়ে দিক। ওনারা কেন ধরে রেখেছেন। আবার ‘ভিকটিমের’ পরিবারদেরও ওনারা বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস দিচ্ছেন। এটি সম্পূর্ণই চোর-পুলিশ খেলার মতো।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নৃশংস হত্যার শিকার হন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের তৎকালীন বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিলেও আজও প্রকৃত রহস্য বা খুনিরা গভীর অন্ধকারেই রয়ে গেছে। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল