ওয়াশিংটন ডিসি: সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়ে আগেই মার্কিন সিনেটে বিল পাশ হয়েছিল। এবার নিয়ম মেনে সেই বিলে সই করে আইনে রুপান্তরিত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার এই আইন প্রণয়নের পরে বাইডেন বললেন, সমানাধিকারের পথে একধাপ এগিয়ে গেল আমেরিকা। সীমিত কিছু মানুষের জন্য নয়, সকলের জন্য স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এই আইন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মার্কিন পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই পাশ হয়েছিল বিলটি।
গত ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সমকামী বিবাহের বিলে সই করেন বাইডেন। এই ঐতিহাসিক মূহূর্তের সাক্ষী ছিলেন বিপুল সংখ্যক অতিথি। বাইডেন বলেন, “সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল আমেরিকা। সকলের জন্য ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করবে এই আইন।” প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেই মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, সমকামী বিবাহ কোনও অপরাধ নয়। তা সত্বেও এই বিয়ের আইনী স্বীকৃতি ছিল না।
কিন্তু এই বিল পাশ করানোর জন্য বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে বাইডেনের দলকে। মার্কিন সিনেটের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই ডেমোক্র্যাটদের। তবে শেষ পর্যন্ত গোঁড়া রিপাবলিকানদের একাংশ মত পরিবর্তন করে এই বিলে সম্মতি দিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের ১০ জন এমপির সমর্থনে উচ্চকক্ষে পাশ হয়ে যায় বিলটি। নিম্নকক্ষে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য থাকায় বিল পাশ করাতে অবশ্য কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি।
আমেরিকায় সমকামী বিয়ের পক্ষে বহু সাধারণ মানুষের মত রয়েছে। তবে তা নিয়ে বিতর্কও কম নেই। সিনেটের উচ্চকক্ষে ৩৬ জন রিপাবলিকান বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, ধর্মীয় অধিকার সংক্রান্ত বোধ থেকেই তারা এর বিরোধিতা করেছেন। জুন মাসে সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়। সেই সময় মুক্তমনাদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, হয়তো সমলৈঙ্গিক বিয়েও এর ফলে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। কিন্তু সমস্ত আশঙ্কা কাটিয়ে অবশেষে তৈরি হল সমকামী বিবাহ আইন। সূত্র: এপি।