বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতি সবচেয়ে সংঘাতময় ছিলো ২০১৩ এবং ১০১৪ সালে। ২০১৪ সালে বিএননি নির্বাচন বর্জন করে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছিলো। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসেবে ২০১৩ সালে সারাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৫০৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২২ হাজার ৪০৭ জন। ২০১৪ সালে ১৪৭ জন, ২০১৫ সালে ১৫৩ জন, ২০১৬ সালে ১৭৭ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৭ সালে ৫৬ জন। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় শুধু আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন ৭৭৬ জন।
এরপর এক বছর রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা কমতে থাকে। তবে ২০২১ সাল থেকে আবার বাড়তে শুরু করে। ২০২০ সালে নিহত হন ৩১ জন। ২০২১ সালে ১৫৭ জন। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ৬৪ জন রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন।মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক নূর খান মনে করেন,”দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি সমঝোতাহীন অবস্থায় চলছে। এক ধরনের অস্থিরতা আছে। আর গতকালের (বুধবার) ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের অসহিষ্ণুতার প্রকাশ দেখেছি। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে রাজনীতিতে সংঘাত অনিবার্য। এখন দেশের যা অর্থনৈতিক অবস্থা তাতে এটা কেনোভাবেই কাম্য নয়। আমি আশা করছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা অনুধাবন করবেন।”
আর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন,” নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে সরকার ও বিএনপির যে এখন অনঢ় অবস্থান তাতে সংঘাতের অশঙ্কাই দেখছি। সংঘাত তো শুরু হয়ে গেছে। দেশের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে। দেশের এই অবস্থায় দুই দলেরই উচিত সমঝোতার পথ খোঁজা। তা না হলে আবার দেশের বাইরে আমাদের ইমেজ নষ্ট হবে।”
তার কথা,”দুই দলের রাজনীতিবিদরাই যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করছেন সেখান থেকেই রাজনীতি সংঘাতের দিকে এগিয়েছে। তারা সংযত ভাষায় কথা বললে হয়তো এই সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।সুত্র ডয়চে ভেলে, ঢাকা