আমরা স্বীকার করি বা না করি, যখন আমাদের অপছন্দের ব্যক্তিটি কোনো সমস্যায় পড়েন কিংবা অপছন্দের একজন সহকর্মী যখন প্রয়োজনীয় কাজটি সম্পন্ন করতে নির্দিষ্ট সময়সীমা মিস করে বিপদে পড়েন, তখন আমরা আড়ালে একটু হাসির জন্য হলেও দায়ী। আমাদেরকে আঘাত করা ব্যক্তিটি যখন কোনো কারণে শাস্তি ভোগ করেন, বিপদের সম্মুখীন হোন, তখন আমাদের মনে একটু হলেও শান্তি আসে। এটার উপযুক্ত একটি ব্যবহারিক শব্দ হতে পারে শ্যাডানফ্রয়েডাহ্। সহজ ভাষায়, শ্যাডানফ্রয়েডাহ্-অন্যের দুর্ভাগ্যের প্রতিক্রিয়ায় আনন্দের মানসিক একটি শান্তি বা অভিজ্ঞতা। শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ (Schadenfreude/ sha-duhn-froy-duh) জার্মান থেকে আক্ষরিক অর্থে ‘harm-joy’ শব্দটি থেকে অনুবাদ, অর্থাৎ ‘ক্ষতির-আনন্দ।’ এটি সেই অদ্ভুত আনন্দ যা আমরা অন্য ব্যক্তির দুর্ভাগ্যের প্রতিক্রিয়ায় অনুভব করি। শব্দটি যেহেতু জার্মানি, তাই উচ্চারণে কিছুটা কঠিন বা গড়মিল হতে পারে।
অন্যদের দুর্দশায় আনন্দিত হওয়াকে অ্যারিস্টটলের সময়ে তিনি epichairekakia বলে অভিহিত করেছিলেন। ফরাসিরা একে বলে ‘joie maligne’ অর্থাৎ ‘ধূর্ত আনন্দ।’ ডাচরা বলেন, ‘লিডভারমাক’ এবং পুরানো জাপানি প্রবাদে বলা হয় ‘অন্যদের দুর্ভাগ্য মধুর মতো স্বাদ!’
জার্মান দার্শনিক ফ্রেডরিখ নিটচাহ্-এর দৃষ্টিতে এটি কোনো অর্জিত আনন্দ নয়; এটি কাউকে কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে নয়, কেবল অন্যের কষ্ট ‘দেখার’ মাধ্যমে পাওয়া আনন্দকে বোঝায়। মনোবিজ্ঞানী এন.টি. ফেদার-এর মতে, শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ প্রাথমিকভাবে ন্যায়বিচার ভিত্তিক। তিনি বিশ্বাস করেন যে, আমরা অন্য ব্যক্তির দুঃখকষ্ট দেখে আনন্দ পাই তখনই, যখন আমরা মনে করি যে এটি তার প্রাপ্য।
শ্যাডানফ্রেয়েডাহ-এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে নানা মতামত রয়েছে।
এমোরি ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানীদের একটি দল শ্যাডানফ্রয়েডাহ্-কে তিনটি বিভাগের মডেল হিসাবে বর্ণনা করেছেন: ন্যায়বিচার, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আগ্রাসন। এই মডেল তিনটি স্বতন্ত্র প্রেরণার সাথে সম্পর্কযুক্ত: সামাজিক ন্যায়বিচার, স্ব-মূল্যায়ন এবং সামাজিক পরিচয়। ন্যায়বিচার-এ অন্যরা যখন শাস্তি পান তখন আমরা আনন্দ অনুভব করি কারণ আমরা মনে করি এই শাস্তি তাদের প্রাপ্য। প্রতিদ্বন্দ্বিতা-এটি ব্যক্তিগত অর্জন এবং ঈর্ষার সাথে জড়িত। প্রতিপক্ষ যখন খারাপ বা নেতিবাচক পরিস্থিতি ভোগ করেন, সঙ্কটে পড়েন, তখন আমরা আনন্দ অনুভব করি। আগ্রাসন-এ দল পরিচয় জড়িত। আমরা যে গোষ্ঠীতে থাকি তার উন্নতির জন্য অন্যান্য গোষ্ঠীর পরাজয়ের প্রয়োজন হতে পারে। আমরা তখনই আনন্দ বোধ করি যখন একটি বহিরাগত দলের সদস্য, যেমন একটি প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রীড়া দল বা রাজনৈতিক দলের পরাজয় ঘটে বা দলটি কোনো সঙ্কটে পড়ে।
অন্যান্য মনোবিজ্ঞানীরা শ্যাডানফ্রয়েডাহ্–কে চারটি শ্রেণিতে বর্ণনা করেছেন: ঘৃনা-বিদ্বেষ, অবিচার, সনাক্তকরণ এবং ক্ষতিপূরণ।
ঘৃণা-বিদ্বেষ-এর সাথে, কোনো ব্যক্তির প্রতি যখন আমাদের অপছন্দের অনুভূতি তৈরি হয় এবং সেই ব্যক্তি যখন দুর্ভাগ্যে পতিত হয়, তখন আমরা আনন্দ অনুভব করি।
অবিচার-এর সাথে, কোনো ব্যক্তির প্রাপ্য শাস্তি পর্যবেক্ষণ করলে আমরা আনন্দ অনুভব করি।
সনাক্তকরণ-এর সাথে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি আমাদের সামাজিক পরিচয়কে বাড়িয়ে তোলে।
ক্ষতিপূরণ-এর সাথে, যখন আমাদের সাথে মন্দ কিছু ঘটে এবং যখন অন্য একজন ব্যক্তি একই মন্দাদশায় পতিত হয়, তখন আমরা আনন্দ অনুভব করি।
অর্থাৎ আমরা দেখতে পাই যে, শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ বা অন্যের বিপদে খুশি হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তবে, কার মধ্যে শ্যাডানফ্রয়েডাহ্-অনুভব করার সম্ভাবনা বেশি এবং এর ক্ষতিকারক ঝুঁকিগুলো কী হতে পারে, তাও এক প্রশ্ন।
গবেষকদের মতে, শ্যাডেনফ্রয়েডাহ্’র তীব্রতা মূলত কম সহানুভূতি ব্যক্তির মাঝে বা অন্যদের প্রতি অমানবিক আচরণের ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে চরম এবং সমস্যাযুক্ত হতে পারে, যার পরবর্তীটি প্রায়শই সাইকোপ্যাথি (সহানুভূতি এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণের অভাব), নার্সিসিজম (আত্মকেন্দ্রিকতা এবং অহংকারী চিন্তাভাবনা), এবং ম্যাকেভেলিয়ানিজম (চাতুরতা এবং কারসাজির মাধ্যমে ক্ষমতা অন্বেষণ) এর ‘ডার্ক ট্রায়াড’ অবস্থার সাথে জড়িত। মনোবিজ্ঞানীরা শ্যাডেনফ্রয়েডাহ্ এবং ডার্ক ট্রায়াড বৈশিষ্ট্যের মধ্যে সংযোগ অন্বেষণ করতে সক্ষম হয়েছেন, বিশেষ করে সাইকোপ্যাথিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সহানুভূতির অভাবে অন্যের বেদনা থেকে আনন্দ পেতে পারে কিংবা অন্যের উপর যন্ত্রণা সৃষ্টি করে আনন্দ অনুভব করতে পারে। গবেষণা দেখায় যে, শ্যাডেনফ্রয়েডাহ্’র তীব্রতা ডার্ক ট্রায়াড বৈশিষ্ট্য এবং দুঃখজনক প্রবণতার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
গবেষকরা প্রস্তাব করেন যে, শ্যাডানফ্রয়েডাহ্- অনুভূতির জন্য আমাদের বুঝতে হবে যে কার ব্যর্থতায় আমরা হাসছি বা খুশি হচ্ছি। এমোরি ইউনিভার্সিটির ডক্টর অফ ফিলোসোফি শেনশেং ওয়াং ব্যাখ্যা করেছেন এটিকে এভাবে-“লোকেরা যখন শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ অভিজ্ঞতা লাভ করে, তখন তারা এমন একটি (অস্থায়ী) মিথস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, যা উচ্চতর মাত্রার সাইকোপ্যাথিক চরিত্রের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের দ্বারা সম্পন্ন হয়। উপলব্ধিকারী, একজন সাইকোপ্যাথের মতো কিছু পরিস্থিতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়, ভিকটিমকে নিপীড়ন করার প্রবণতা রাখে, সাময়িকভাবে ভিকটিমের মন শনাক্ত করার প্রেরণা হারিয়ে ফেলে, যা অনেকটা সাইকোপ্যাথের মতোই।”
তারা আরও পরামর্শ দেয় যে, অমানবিককরণ, শ্যাডানফ্রয়েডাহ্-এর মৌলিক দিক হতে পারে, তবে এটি প্রমাণ করার আগে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।
শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ নিয়ে গবেষকরা আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে, কম আত্মসম্মান সম্পন্ন লোকেরা যখন অন্য লোকেদের ব্যর্থ হতে দেখে তখন তাদের শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ অনুভব করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর কারণ হলো, অন্যদের সাফল্য তাদের আত্মবোধের জন্য হুমকি হতে পারে। তাই অন্যের পতন তাদেরকে সান্ত্বনা দেয়।
অন্যভাবে বলতে গেলে, ঈর্ষা শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ এর সাথে সংযুক্ত। ঈর্ষা একটি হতাশাবাদী প্রবণতা, নেতিবাচক আবেগ যা আমাদের অন্য ব্যক্তির থেকে নিকৃষ্ট বোধ করায়। আমরা নিজেদের অস্তিত্ব ও অবস্থান নিয়ে অনিরাপদবোধ করি। আমরা যে ব্যক্তিটির মতো হতে চাই বা অবস্থানে যেতে চাই, সেই ব্যক্তিটি যখন বিপদ পড়ে বা হতাশার পড়ে, তখন সেই পতন তাদের প্রতি আমাদের ঈর্ষা কমিয়ে দেয় এবং আমরা স্বস্তি পাই। কারণ যখন তারা সামাজিক মর্যাদা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, তখন আমাদের আত্ম-মূল্যায়ন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেড়ে যায় এবং তাদের দুর্ভাগ্যে আমরা আরও ভালোবোধ করি। এইভাবে, ঈর্শা শ্যাডানফ্রয়েডাহ্-এর জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
শ্যাডানফ্রয়েডাহ্- এবং সহানুভূতির মধ্যে সংযোগের বিষয়টি অনেক গবেষকদের কাছে অধ্যয়নের চলমান বিষয়। মনোবৈজ্ঞানিকরা উল্লেখ করেন যে, সহানুভূতির অনুপস্থিতে শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ বোধ আসে।
তার মানে, শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ অনুভব করা প্রত্যেকেই সাইকোপ্যাথ? অবশ্যয়ই না। শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ এর উপর আরেকটি গবেষণার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, ডঃ মিনা সিকারা ব্যাখ্যা করেছেন যে “সহানুভূতির অভাব সবসময় রোগগত হয় না। এবং শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ মানুষের একটি প্রতিক্রিয়া মাত্র যা সবাই অনুভব করে না। কিন্তু আমাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ করে। আপনি কারো প্রতি সামান্য ঈর্ষার্ন্বিত হলেন বা কারো ব্যর্থতায় একটু হাসলেন, তার অর্থ এই নয় যে আপনি সাইকোপ্যাথ যাচ্ছেন। তবে আপনি যদি নিয়মিত শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ অনুভব করেন এবং এটা আপনাকে উত্তেজিত করে বা নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তবে আপনার উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার।”
জীববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, বিবর্তন এবং প্রাণী আচরণে বিশেষজ্ঞ কারিন আকরে’র লেখা “schadenfreude” আর্টিক্যালে জানা যায়, নিউরোবায়োলজিস্টরা মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করেছেন যা শ্যাডানফ্রয়েডাহ্’র সাথে সম্পর্কিত এবং এটিকে সম্পর্কিত আবেগ থেকে আলাদা করা হয়। ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (fMRI) থেকে সংগৃহীত চিত্র দেখায় যে অগ্রবর্তী সিঙ্গুলেট কর্টেক্স (ACC), যা মস্তিষ্কের গোলার্ধের মধ্যবর্তী পৃষ্ঠে অবস্থিত এবং লিম্বিক সিস্টেমকে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের সাথে সংযুক্ত করে, তখনই সক্রিয় হয় যখন লোকেরা ঈর্ষাবোধ করে। এই এলাকাটি দ্বন্দ্ব এবং সামাজিক ব্যথার সাথেও যুক্ত, এবং এটি এমন পরিস্থিতিতে সক্রিয় হয় যেখানে একজন ব্যক্তি ক্রীড়া দল হারায়। যখন লোকেরা দুর্ভাগ্য বা প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ক্ষতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে ঈর্ষান্বিত ব্যক্তির শ্যাডানফ্রয়েডাহ্-এর রিপোর্ট করেছিল, তখন ভেন্ট্রাল স্ট্রাইটাম (মস্তিষ্কের অংশটি কানের পিছনে অবস্থিত) সক্রিয় হয়েছিল। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, সামাজিক জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত মস্তিষ্কের ক্ষেত্রগুলি সহানুভূতি এবং শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ এর সময় একইভাবে সক্রিয় ছিল, তবে শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ এর সাথে নিউক্লিয়াস অ্যাকম্বেন্সগুলি (যা ভেন্ট্রাল স্ট্রাইটামের মধ্যে অবস্থিত) আরও সক্রিয় ছিল। অধিকন্তু, ইমপেয়ার্ড ভেন্ট্রাল স্ট্রাইটামের রোগীদের শ্যাডানফ্রয়েডাহ্’র নিম্ন স্তরের অভিজ্ঞতা দেখানো হয়েছে। শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যেও ঘটতে দেখা গেছে, এবং প্রায় প্রত্যেকেই তাদের জীবনে কিছু মাত্রায় এটি অনুভব করতে পারেন। তবে স্বতন্ত্র পার্থক্য আছে। এটি কম আত্মসম্মানযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি সক্রিয় হতে দেখা গেছে।
অনলাইন আচরণে শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ এর ভূমিকা রাজনীতিবিদ, বিজ্ঞাপনদাতা ও মনোবিজ্ঞানীদের আগ্রহের একটি বিষয়ে। অনলাইন আচরণে শ্যাডানফ্রয়েডাহ্’র উপস্থিতি নথিভুক্ত করার পর জানা গেছে, অনলাইন আচরণ শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ প্রদর্শন করে এবং যারা দুর্বল আত্মসম্মানবোধ নিয়ে থাকে, তারা অন্য লোকের ভুলের হিসাব খোঁজার জন্য বেশি সময় ব্যয় করে। এর একটি কারণ হতে পারে, সহানুভূতির অভাব, কারণ বাধা পর্দা আমাদেরকে অন্যদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ থেকে বিরত রাখে। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টগুলো কখনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক বা রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইঙ্গিতের উপর ভিত্তি করে করা হয়, এবং অন্যদেরকে পোস্টগুলো, মন্তব্যগুলোর পার্থক্যগুলিকে দ্রুত মূল্যায়ন করার ক্ষমতা দেয়, যা শ্যাডোনফ্রয়েডাহ্’র প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি করতে পারে।
শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ নিয়ে বহু গবেষণা তর্ক বিতর্ক রয়েছে। মূলত, শ্যাডানফ্রয়েডাহ্-সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যেই আছে। কারণে অকারণে অন্যদের দুর্দশায় অনেকেই খুশি হোন। আবার কেউ কেউ শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ এবং সহানুভূতির অনুভূতি-উভয দ্বারাই প্রভাবিত। আমাদের কেবল সীমা চিহ্নিত করতে হবে এবং অহংকার প্রবৃত্তি, ঈর্ষাবোধকে সামাজিক স্বভাব থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে অবশ্যয়ই কারো মধ্যে যদি শ্যাডানফ্রয়েডাহ্ তীব্র আকারে পরিলক্ষিত হয় যা ব্যক্তির ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক জীবনের জন্য ক্ষতিকর হয়, তবে সেটা ডার্ক ট্রায়াড বৈশিষ্টে রূপান্তরিত হবার আগেই সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসার জন্য কাউন্সেলিং বা চিকিৎসক এর শরণাপন্ন হওয়া দরকার। নিউ ইয়র্ক আগষ্ট ২০২