রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখলে নিয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, দখলে নেওয়ার পর রুশ সমর্থিত বাহিনী এটিকে অক্ষত রাখার দাবি করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ এক প্রতিবেদনে এসব জানিয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নাম ভুহলেহিরস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি পূর্ব ইউক্রেনে অবস্থিত এবং এটি সোভিয়েত যুগের কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি দখল নেওয়াকে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে রুশ বাহিনীর অন্যতম কৌশলগত বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ ইউটিউবে পোস্ট করা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভুলেহিরস্ককে দখল করার মাধ্যমে তারা একটি ক্ষুদ্র কৌশলগত বিজয় অর্জন করেছে।’ রাশিয়া দক্ষিণের আরও তিনটি অঞ্চলে ব্যাপক সেনা মোতায়েনের উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে তিনি টেলিফোনে কথা বলার পরিকল্পনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে একটি ‘অন্যায় যুদ্ধ’ বলে আসছে। অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও সের্গেই লাভরভের মধ্যে যদি ফোনালাপ হয়, তবে সেটি হবে যুদ্ধ শুরুর পর এ দুই কীটনীতিকের প্রথম আলোচনা।
তবে সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেছেন, ‘আলোচনাটি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে হবে না। যুদ্ধ অবসানের জন্য যেকোনো আলোচনা কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যেই হতে হবে।’ তবে তিনি লাভরভের সঙ্গে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও ইউক্রেনের মধ্যে গত সপ্তাহে শস্য রপ্তানির অস্থায়ী চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে রুশ বার্তা সংস্থা তাস বলেছে, ব্লিংকেন ও লাভরভের মধ্যে ফোনালাপের বিষয়ে রাশিয়া ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পায়নি।