নিউইয়র্ক     রবিবার, ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া ও চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাইডেন-ম্যাক্রো ঐক্য

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
রাশিয়া ও চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাইডেন-ম্যাক্রো ঐক্য

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর ওয়াশিংটন সফরে মত পার্থক্য কমিয়ে অ্যাটলান্টিকের দুই প্রান্তের মধ্যে আরও সমন্বয়ের অঙ্গীকার শোনা গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রশ্নে অবশ্য ঐক্য অটুট রয়েছে। খবর ডয়চে ভেলের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যাবতীয় মতভেদ সরিয়ে রেখে পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্যের উপর জোর দিলেন। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে তারা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করার অঙ্গীকার করলেন।

ওয়াশিংটনে ম্যাক্রোর রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই শীর্ষ নেতা সেই সঙ্গে গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন জানাতে জোরালো ট্রান্স-অ্যাটলান্টিক জোটের উপরও জোর দিয়েছেন। রাশিয়া ও চীনের মোকাবিলা করতে এমন ঐক্যের প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।


বাইডেন জানান, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-সেভেনের সহযোগীদের সঙ্গে মিলে রাশিয়ার নৃশংস যুদ্ধের বিরুদ্ধে জোরালো ঐক্য দেখিয়ে চলেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি সত্যি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার কথা ভাবছেন, সে বিষয়ে আলোচনা করতে বাইডেন প্রয়োজনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। তবে পুতিন এখনো সে রকম কিছুই করেন নি বলে বাইডেন মনে করছেন।

ম্যাক্রো সেই সঙ্গে জানান, তারা কখনোই ইউক্রেনীয়দের এমন কোনো আপোষ মেনে নেবার জন্য চাপ দেবেন না, যা তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধসহ রাশিয়ার যাবতীয় পদক্ষেপ না ভুলে মস্কোকে কৈফিয়ত হবে বলে দুই নেতা মনে করেন।


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ইইউ সমুদ্র পথে পাঠানো রাশিয়ার পেট্রোলিয়ামের মূল্যের ঊর্ধ্বসীমা স্থির করে দিয়েছে। ফলে ব্যারেল-প্রতি ৬০ ডলারের সেই মাত্রা না মানলে নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপের বিধান রাখা হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসন পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়াতে সে দেশের কোম্পানিগুলোর জন্য যে বিশাল অংকের ভরতুকির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফ্রান্স তথা ইউরোপে সেই পদক্ষেপের জোরালো বিরোধিতা পশ্চিমা ঐক্যের পথে কাঁটা হয়ে উঠছে। তবে প্রায় দুই ঘণ্টার আলোচনার পর দুই নেতা আপাতত সেই সংঘাত কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হয়েছে।


বাইডেন জানান, তারা অ্যাটলান্টিকের দুই প্রান্তের মধ্যে সাপ্লাই চেন, উৎপাদন ও উদ্ভাবনের মধ্যে সমন্বয় করতে কিছু বাস্তবধর্মী পদক্ষেপের বিষয়ে আরো আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বাইডেন ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট’ প্রত্যাহারের কোনো আশ্বাস দেননি।

বাইডেন শুধু সামান্য রদবদলের মাধ্যমে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বৈষম্য দূর করার অঙ্গীকার করেছেন। ফলে ইউরোপও পালটা পদক্ষেপ হিসেবে নিজস্ব ‘গ্রিন ইকোনমি’ ক্ষেত্রে ভরতুকির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না।

চীন সংক্রান্ত নীতির ক্ষেত্রে আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে এতকাল মতপার্থক্যও ঐক্যের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। বাইডেন ও ম্যাক্রো এ ক্ষেত্রেও সমন্বয় আরও বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন। বিশেষ করে নিয়ম ভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামোর প্রতি চীনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে তারা বদ্ধপরিকর। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বেইজিং এর সঙ্গে সহযোগিতার পথ থেকে সরে আসা হবে না।

শেয়ার করুন