নিউইয়র্ক     সোমবার, ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে অগ্ন্যুৎপাত, ছাইয়ের চাদরে ঢেকে গেলো একাধিক গ্রাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে অগ্ন্যুৎপাত, ছাইয়ের চাদরে ঢেকে গেলো একাধিক গ্রাম

স্থানীয় লোকালয়ে লাভা পৌঁছায়নি। ছবি : রয়টার্স

রাশিয়ার একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপে এই অগ্ন্যুৎপাত হয়। এই ঘটনায় অঞ্চলটির একাধিক গ্রাম ছাইয়ে ঢেকে গেছে। আগ্নেয়গিরির ধূলো-বালির কারণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস জিওফিজিক্যাল সার্ভের কামচাটকা শাখার তথ্য অনুসারে, শিভেলুচ আগ্নেয়গিরিতে সোমবার মধ্যরাতে অগ্ন্যুৎপাত হয়। ছয় ঘণ্টা ধরে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এক লাখ আট হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় আকাশে ছাই ছড়িয়ে পড়ে। আগ্নেয়গিরি থেকে ছড়িয়ে পড়া লাভায় তুষার গলে যায়। এতে কাছের একটি মহাসড়কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম ৮ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার (সাড়ে তিন ইঞ্চি) পুরু ধূসর ছাইয়ের চাদরে ঢাকা পড়েছে। যা ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গভীর।


ছাইয়ের চাদরে ঢেকে গেছে অনেক গ্রাম। ছবি: রয়টার্স

ছবিতে দেখা গেছে, বন ও নদী কালো ছাইয়ে ঢেকে গেছে। জিওফিজিক্যাল সার্ভে কামচাটকা শাখার প্রধান ডানিলা চেভরভ বলেন, ছাই ২০ কিলোমিটার উঁচুতে পৌঁছায়। এই ছাইয়ের মেঘ হয়ত পশ্চিম দিকে যেতে পারে। আশেপাশের গ্রামগুলোতে এই পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রায় এক বছর ধরে অগ্ন্যুৎপাতের জন্য আগ্নেয়গিরিটি প্রস্তুতি নিচ্ছিল। প্রক্রিয়াটি জারি থাকলেও এখন কিছুটা শান্ত।

অগ্ন্যুৎপাতের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর অঞ্চলটিতে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। রুশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই কম্পন ৩ এপ্রিলের একটি ভূমিকম্পের আফটার শক। কামচাটকা উপদ্বীপে প্রায় ৩ লাখ মানুষের বসবাস। এটি জাপানের উত্তরপূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগরের কাছে অবস্থিত। চেভরভ বলেছেন, আগ্নেয়গিরিটি হয়ত এখন শান্ত। তবে ছাইয়ের মেঘের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। স্থানীয় গ্রামগুলোতে লাভা পৌঁছায়নি।বিজ্ঞানীরা বলেছেন, শুরু হওয়ার ১৫ ঘণ্টা পরও অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে আগ্নেয়গিরি থেকে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন