নিউইয়র্ক : কেন্দ্রীয় ঐক্য পরিষদ ঘোষিত আগামী ৬-৭ জানুযারি ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক বিশেষ ভার্চুয়েল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের অন্যতম সভাপতি রণবীর বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য ও যুগ্ম সম্পাদক বিষ্ণু গোপের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারী দল প্রদ্ত্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আগামী ৬ই জানুযারি সারা দেশ থেকে সংখ্যালঘুদের লং মার্চ করে ঢাকা পৌঁছে, ৭ই জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের শাহবাগ চত্বরে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠান শেষে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা এবং প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদানের যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সে বিষয়ে অনুপুঙ্খ আলোচনা শেষে ওই কর্মসূচির প্রতি দ্ব্যার্থহীন সমর্থন জানানো হয়।
উক্ত সভায় যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ লং মার্চের বিষয়টি ছাড়াও দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ও আগামী নির্বাচনের বাস্তবতার আলোকে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্থায়ি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশে বিদেশে কার কী করণীয় সে’সব বিষয়ে সুচিন্তিত বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন মতিলাল দেবরায়, শিতাংশু গুহ, রূপকুমার ভৌমিক, সুশীল সাহা, প্রদীপ মালাকার, রিণা সাহা, সুশীল সিনহা, ভজন সরকার, শুভ রায়, দিলীপ নাথ, পারিজাত দাস, চন্দন সেনগুপ্ত, বিষ্ণু গোপ, রণবীর বড়ুয়া ও ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য, প্রমুখ।
সভার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে এই অনুরোধ জানানো হয় যে, তিনি যেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিগুলো আর বিলম্ব না করে বাস্তবায়ন করেন, যার মধ্যে রয়েছে: (১) সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ আইন, ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, (২) জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, (৩), অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, এবং (৪) সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে আরও অনুরোধ জানান যে, তিনি যেন সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের মত একটি হেইট ও স্পীচ্ আইন পাশ করে ওই আইনের আওতায় প্রতিটি জেলায একটি করে দ্রুত বিচারের ক্ষমতা সম্পন্ন বিশেষ আদালতে জজ সাহাবুদ্দীন কমিশ রিপোর্টে যে কয়েক হাজার সংখ্যালঘু নির্যাতককের তালিকা রয়েছে সেটা গ্যাজেটে প্রকাশ করে তাদের বিচার ও কঠোর শাস্তি প্রদানের প্রক্রিয়াটি শুরু করেন; এবং, এই প্রক্রিয়া চলাকালে যেন একজন বিচারপতির নেতৃত্বে আরকেটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ’ পর্যন্ত সংঘটিত সকল সংখ্যালঘু নির্যাতনের অপরাধে অপরাধীদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা যথাশীঘ্র প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট আদালতসমূহের বিচারকদের হাতে তুলে দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি