দুই মাসের প্রেম ছিল তাদের। এরই মধ্যে তরুণী জানতে পারেন তার প্রেমিক ক্যান্সারে আক্রান্ত। তবে সম্পর্ক ভেঙে ফেলেননি তিনি। বরং প্রেমকে রূপ দিয়েছেন পরিণয়ে। বসেছেন বিয়ের পিড়িতে। কিন্তু বিয়ের প্রথম মাসেই পরপারে পাড়ি জমান তরুণ। বিধবা হয়ে যান তরুণী।
তবে মনের মানুষকে কাছে রাখতে না পারলেও তার সন্তান গর্ভে ধারণ করতে যাচ্ছেন ওই তরুণী। স্বামীর মৃত্যুর পরও যাতে তার সন্তান গর্ভে ধারণ করতে পারেন, সে কারণে শুক্রাণু সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণী। সব ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বরে মৃত স্বামীর সংরক্ষিত শুক্রাণু নিজের গর্ভে ধারণ করবেন ফ্যাবি পাওয়েল নামে ক্যালিফোর্নিয়ার ওই ৩৩ বছর বয়সী তরুণী।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে একটি বারে জোশ নামে এক যুবকের সঙ্গে তার আলাপ হয়। তার পরই সেই আলাপ গড়ায় প্রেমে। মনের মানুষকে নিয়ে একরাশ স্বপ্ন ছিল ফ্যাবির চোখে। কিন্তু জোশের সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ার দু’মাসের মধ্যেই ওই তরুণী জানতে পারেন যে, তার প্রেমিক ক্যানসারে আক্রান্ত।
চিকিৎসকরাও জানিয়ে দেন যে, এই রোগ সারবে না। অর্থাৎ ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়বেন জোশ। এই নিষ্ঠুর সত্য জানার পরও প্রেমিকের হাত ছাড়েননি ওই তরুণী। সবটা জানার পরও জোশকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন ফ্যাবি। প্রথমে ঠিক ছিল, তারা ২০১৭ সালের মে মাসে বিয়ে করবেন। কিন্তু জোশের অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে ২০১৬ সালের নভেম্বরেই বিয়ে সারেন তারা।
সন্তান জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা করেন দম্পতি। তারা ঠিক করেন যে, জোশের শুক্রাণু সংরক্ষণ করা হবে। যাতে তার মৃত্যুর পর ওই শুক্রাণু আইভিএফ পদ্ধতিতে কাজে লাগিয়ে মা হতে পারেন ফ্যাবি।
কেমোথেরাপির সময়ই শুক্রাণু সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন জোশ। বিয়ের এক মাসের মধ্যেই মৃত্যু হয় জোশের। মৃত্যুর আগে ফ্যাবির নামে উইল করে গিয়েছেন জোশ। সেখানে তিনি লিখেছেন, তার মৃত্যুর পর তার সংরক্ষিত শুক্রাণু পাবেন ফ্যাবিই।
কিন্তু জোশের মৃত্যুর পরও ওই সংরক্ষিত শুক্রাণু ব্যবহার করে আইভিএফ পদ্ধতিতে ফ্যাবি মা হবেন কি না, এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চার বছর সময় নিয়েছেন। অতিমারির সময় ওই তরুণী পরিবারের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। তার পরই মনস্থির করেন যে, তিনি মা হবেন। শেষমেশ আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে ভ্রূণ গর্ভে ধারণ করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। একটি পডকাস্ট প্ল্যাটফর্মে এই কাহিনি তুলে ধরেছেন ওই তরুণী।