ইউক্রেনের মুসলিম সেনাদের জন্য প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ইফতার আয়োজন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাজধানী কিয়েভে মুসলিম সেনাদের সঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণ দেন তিনি।
রাজধানী কিয়েভে ক্রিমিয়ার তাতার কালচারাল সেন্টারের ইফতারের আয়োজন করা হয়। ক্রেমলিন-নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ায় সংখ্যালঘু মুসলিম তাতার সম্প্রদায়ের প্রতি রাশিয়ার আচরণের নিন্দা জানান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। রাশিয়ার হাতে থেকে ক্রিমিয়া পুনর্দখলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলের এ ভূখন্ডে নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয় এবং তা অধিভূক্ত করার বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠানে চাপ দেয়। ইউক্রেন ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা গণভোটের এমন পদক্ষেপকে প্রতারণামূলক এবং অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানায়।
তিনি ইউক্রেনের মুসলিম নেতা এবং মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বলেন, ‘ইউক্রেনকে ক্রীতদাসে পরিণত করার রাশিয়া প্রচেষ্টা ঠিক ক্রিমিয়া দখলের, ক্রিমিয়ান, ইউক্রেনিয়ান এবং ক্রিমিয়ান তাতারের স্বাধীনতা ও ক্রিমিয়ান মুসলমানদের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের মধ্যদিয়ে শুরু হয়।’ তাতার সম্প্রদায়ের মানুষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ভোট বর্জন করেছিল। ক্রিমিয়ার ২০ লাখ বাসিন্দার ১২ থেকে ১৫ শতাংশ হচ্ছে তাতার সম্প্রদায়ের মানুষ।
বেশ কয়েকজন ইউক্রেনীয় মুসলিম সেনা সদস্যকে পুরস্কার দেয়ার আগে জেলেনস্কি বলেন, ‘ক্রিমিয়া দখলমুক্ত করা ছাড়া ইউক্রেনের জন্য বা বিশ্বের জন্য কোন বিকল্প নেই। আমরা ক্রিমিয়ায় ফিরে আসবো।’ রাজধানীর কেন্দ্রের বাইরে একটি মসজিদে বক্তব্য দেয়ার সময় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন রাষ্ট্রীয়ভাবে ইফতার আয়োজনের একটি নতুন ঐতিহ্য শুরু করেছে যা মুসলিমরা সারাদিন রোজা রাখার পর খেয়ে থাকে। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল