মিয়ানমারকে বাদ রেখেই কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে শুরু হয়েছে আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন। এই সম্মেলন থেকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে সাবধান করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি সেখানকার জেনারেলরা আর কোনো রাজনৈতিক বন্দিকে ফাঁসি দেয়, তাহলে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের সঙ্গে যে পরিকল্পনা চুক্তি হয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনা করবে আসিয়ান। এতে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেছেন, মিয়ানমারের সংকট থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যে প্রভাব এসেছে, তাতে আসিয়ানের ঐক্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিক এবং মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ সদস্য দেশকে নিয়ে গড়ে উঠেছে আসিয়ান। এর সদস্য মিয়ানমারও। গত এপ্রিলে মিয়ানমারের দিকে কথিত ‘ফাইভ-পয়েন্ট কনসেন্সাস’ ঠেলে দেয় আসিয়ান। গত সপ্তাহে মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি চারজন অধিকারকর্মীর ফাঁসিরও সমালোচনা করেছে আসিয়ান। নমপেনে সম্মেলন শুরু হলেও এতে মিয়ানমারের সামরিক প্রতিনিধির উপস্থিতি নিষিদ্ধ করে তারা।
হুন সেন বলেন, যদি আর কোনো বন্দিকে ফাঁসি দেয়া হয়, তাহলে আমরা আমাদের ভূমিকা ও আসিয়ানের ‘ফাইভ পয়েন্ট কনসেন্সাস’ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবো। আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার তিনি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে কমপক্ষে ৭০ জন রাজনৈতিক বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে দুই ডজনকে এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে তাদের অনুপস্থিতিতে। গত বছর ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সুচি ও তার সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। তখন থেকে প্রায় ২১৪৫ জন নিহত হয়েছেন অভ্যুত্থানবিরোধী অবস্থান নেয়ার কারণে। হুন সেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। শান্তির বিষয়ে ঐকমত্য হওয়ার আগের চেয়ে তা আরও ভয়াবহ হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। কারণ, সামরিক সরকার সেখানে অধিকারকর্মীদের ফাঁসি দিয়েছে।