মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটারদের বিবেচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে দেশের অর্থনীতি ও সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দেশজুড়ে সমাবেশে অংশ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরছেন রিপাবলিকানরা। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত আছে।
এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে প্রচারণার লড়াই। শেষ মূহুর্তে ভোটারদের কাছে গিয়ে বিরোধী শিবিরের ভুলত্রুটি তুলে ধরছে দুই দল। তবে গণমাধ্যম বলছে, মার্কিন কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন হবে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্য। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে জনমত জরিপও রিপাবলিকানদের পক্ষে।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় ভোট চাইতে একের পর এক অঙ্গরাজ্যে সমাবেশ করছে রিপাবলিকানরা। দেশের অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে দাবি করে প্রচারণা চালাচ্ছে বিরোধী শিবির। যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির জন্য সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে দুষছেন রিপাবলিকানরা।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রন ডেসান্টিস বলেন, চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতিতে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা কোন দুর্ঘটনা নয়। উনি এসে অর্থ ধার করেছেন আর হাজার কোটি ডলার খরচ করেছেন। এর পরিণাম সম্পর্কে আগে থেকেই তাকে জানানো হয়েছিলো। কিন্তু উনি তা শোনেননি।
রিপাবলিকানদের অভিযোগকে মিথ্যা প্রচারণা আখ্যা দিয়ে ভোটারদের আস্থা ফেরাতে বাইডেনও চষে বেড়াচ্ছেন একের পর এক অঙ্গরাজ্য। শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান দিয়েগো শহরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেন, বৈশ্বিক মন্দার কারণে ধীর গতিতে হলেও অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত রেখেছে বর্তমান প্রশাসন। বাইডেন বলেন, গত ২০ মাসে আমরা অর্থনীতির উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
দেশে বেকারত্ব কমাতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন। গত ১ মাসে আড়াই লাখের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মধ্যবর্তী নির্বাচনে শুক্রবার পর্যন্ত সাড়ে ৩ কোটির বেশি নাগরিক আগাম ভোট দিয়েছেন। দেশের অর্থনীতি ও সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ভোটাররা গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম।