হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ মাথাব্যথা কমবেশি সবারই হয়। বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। জ্বর-সর্দি থেকে শুরু করে হতে পারে ব্রেইন টিউমারের উপসর্গ। সচরাচর যে ধরনের মাথাব্যথার রোগী বেশি দেখা যায় সেগুলো হলো :
- মাইগ্রেন।
- টেনশনের কারণে মাথাব্যথা।
- মাথায় সংক্রমণের কারণে ব্যথা।
- ওষুধের মাত্রার তারতম্যজনিত মাথাব্যথা।
- চোখ, নাক, কান, গলার সমস্যাজনিত মাথাব্যথা।
মাইগ্রেন : পুরুষের চেয়ে নারীরা মাইগ্রেনে ভোগে বেশি। সাধারণত ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সে এটি বেশি দেখা যায়। মাইগ্রেনের মাথাব্যথার লক্ষণগুলো
হলো :
- মাথার যেকোনো এক পাশে ব্যথা হয়। একবার এক পাশে ব্যথা হলে পরেরবার অন্য পাশে ব্যথা হতে পারে।
- ৪ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এ ব্যথা স্থায়ী হতে পারে।
- মাথার দুই পাশের রক্তনালি বা রগ টনটন করছে বলে মনে হয়।
- আলো বা শব্দে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়।
- ব্যথার সঙ্গে বমিভাব ও বমি হতে পারে।
- ব্যথা শুরুর আগে চোখের সামনে আলোর নাচন, আঁকাবাঁকা লাইন ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
- অন্ধকারে শুয়ে থাকলে ব্যথার তীব্রতা কমে।
টেনশন থেকে মাথাব্যথা : মাথার মাংসপেশির সংকোচনের কারণে এ ধরনের মাথাব্যথা হয়। এর উপসর্গগুলো হলো:
- মাথাজুড়ে ব্যথা হওয়া।
- মাথা ধরে আছে এমন অনুভূতি হওয়া।
- এ ধরনের ব্যথা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
- দুশ্চিন্তা, পারিবারিক বা পেশাগত কিংবা মানসিক চাপের সঙ্গে এ ব্যথার সম্পর্ক আছে।
মেনিনজাইটিস ও এনকেফালাইটিস: এই রোগে সাধারণত জ্বর বা মাথাব্যথা থাকে। রোগী অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে ব্যথার কারণে। মাথাব্যথা হতে পারে ব্রেইন টিউমার ও মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ। মারাত্মক রোগের লক্ষণ কি না, জানবেন যেভাবে :
- হঠাৎ করে ব্যথা শুরু হলে।
- সঙ্গে কোনো পাশে দুর্বলতা ও কথা জড়িয়ে এলে।
- ওজন কমে গেলে।
- জ্বর থাকলে।
- দুর্বলতা থাকলে।
- সঙ্গে বমি হলে।
- বয়স ৬০ বছরের বেশি হলে।
করণীয় : মাথাব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ—যেমন প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। তবে খুব প্রয়োজন না হলে অতিরিক্ত ব্যথার ওষুধ না খাওয়াই ভালো। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে মাথাব্যথার ধরন অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ
এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়