ছয় সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের জরিপগুলোতে ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা দেখে মনে হয়েছিল, তারা একটি অসাধারণ বিজয় অর্জনের পথে রয়েছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে দ্য ইকোনমিস্টের পরিসংখ্যানগত পূর্বাভাস বলেছিল যে, তাদের সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখন সেই সম্ভবনা হ্রাস পেয়ে রিপাবলিকানদের সাথে প্রায় সমান-সমান অবস্থানে রয়েছে। ফলে, মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনে হেরে যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পেনসিলভেনিয়ায় ৪ অক্টোবরের দ্য ইকোনোমিস্টের জরিপের গড় ফলাফলে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জন ফেটারম্যান তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী মেহমেত ওজের থেকে মাত্র ছয় পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। ৪ নভেম্বরের মধ্যে ফেটারম্যানের সাথে ওজের দূরত্ব এক পয়েন্ট কমে গেছে।
অ্যারিজোনায় সিনেটের ডেমোক্র্যাটিক পদপ্রার্থী মার্ক কেলি তার রিপবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে আট পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন। তিনি এখন মাত্র দুই পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীরা জর্জিয়া এবং নিউ হ্যাম্পশায়ারে ডেমোক্র্যাট শাসিত আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রেও একই ব্যবধানে পিছিয়ে গেছেন। ইতোমধ্যেই নেভাদাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং বর্তমানে রিপাবলিকান অধিষ্ঠিত আসনগুলোতেও তারা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। ওহাইও, নর্থ ক্যারোলিনা এবং উইসকনসিনের প্রতিযোগিতায় জনতা এখন রিপাবলিকান প্রার্থীদের দিকে ঝুঁকেছে।
অনলাইন জরিপ সংস্থা ইউগভের সাথে দ্য ইকোনোমিস্টের মিলিত জরিপে বলছে যে, সিদ্ধান্তহীন ভোটাররা সিদ্ধান্ত নেয়া ভোটারদের তুলনায় জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট পদের প্রতি কম সমর্থন দিচ্ছে। পাশাপাশি, সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ভোটারদের ৩০ শতাংশ বলেছেন যে, তারা বাইডেনের পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করেছেন এবং ৫৩ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা সমর্থন করেননি। মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের দলটি খুব সম্ভবত রিপাবলিকান শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এবং এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি থাকতে দ্য ইকোনোমিস্টের জরিপ বলছে যে, ডেমোক্রেট বা রিপাবলিকান যেকোনো পক্ষই ৪৫ বা ৫৫টি সিনেট আসন জিততে পারে।