ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখোমুখি বৈঠকে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। পদত্যাগপত্রটি তিনি তার ব্যক্তিগত ইমেল থেকে পাঠিয়েছেন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে পদত্যাগে দেশটিতে চরম রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের পর পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে পাঠিয়ে দেন সুয়েল।
সেখানে তিনি সরকারি কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গ করে আরেক সহকর্মীকে অভিবাসন সংক্রান্ত ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে পদত্যাগ করছেন বলে উল্লেখ করেন। সুয়েল ব্রাভারম্যান পদত্যাগ গ্রহণ করে ব্রিটিশ এমপি এবং টরি দলের নেতা গ্র্যান্ড শ্যাপসকে পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের পর চরম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেবার পার্টির নেতা ইভেট কুপার। তিনি জানান, এই টোরি সরকার ভেঙ্গে পড়েছে। লিজ ট্রাসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ছয় সপ্তাহের মধ্যে আপনার নিয়োগ করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা ছাড়া কিছুই নয়। এটি সরকার চালানোর কোনো পদ্ধতি নয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি আরও লিখেছেন, এছাড়া নিরাপত্তা পদ্ধতি লঙ্ঘনের জন্য ব্রাভারম্যানের স্বীকারোক্তি গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি বিবৃতি দরকার। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা স্বরাষ্ট্র, নিরাপত্তা এবং জননিরাপত্তার জন্য খারাপ ফল বয়ে নিয়ে আসবে। যদি রক্ষণশীলরা মৌলিক বিষয়গুলো পরিচালনা করতে না পারে তবে তাদের পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং যারা পারে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। জনসাধারণের জন্য টোরি পার্টির শীর্ষে পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, এখন লেবার সরকার প্রয়োজন।
এর আগে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান কোয়াসি কোয়ার্টেং। সম্প্রতি সংক্ষিপ্ত বাজেটে কর কমানোর কারণে পুরো ব্রিটেন জুড়ে তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়। কোয়াসি কোয়ার্টেং ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ কর ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কর ছাড় ধনীদের বিভিন্নভাবে উপকৃত করবে বলে ব্রিটেন জুড়ে অভিযোগ ওঠে। পরে পদত্যাগে বাধ্য হন কোয়াসি কোয়ার্টেং।