ক্রমাগত সুদের হার বৃদ্ধি বিশ্বজুড়ে ব্যাংক খাতের দুর্বলতা বাড়িয়েছে। যার বর্তমান অবস্থা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-অলিভিয়ের গুয়েরিনচাস এমনটাই সতর্ক করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে গুয়েরিনচাস বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে আমরা যা দেখছি তা উদ্বেগজনক। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এ খাতের অবস্থা শোচনীয়। এমনকি অন্যান্য কিছু দেশেও একই দশা। এতে ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে। দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তহবিলের খরচ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, দীর্ঘমেয়াদী বন্ডের মতো সম্পদে ক্ষতি দেখেছেন ঋণদাতারা।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। অবশ্য এই পরিস্থিতি তাদের আরও বিচক্ষণ হতে সহায়তা করবে। সম্ভবত কিছু ঋণ কমিয়ে দেবে তারা। ইতোমধ্যে চলতি বছর ২ দশমিক ৮ শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। তবে সেটা ২ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে যেতে পারে। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেন, বিশ্ব করোনার অভিঘাত কাটিয়ে উঠলেও এখনও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসেনি। এতে নিরাপদে ফিরতে বিশ্বের বাকি অংশ থেকে প্রচুর পুঁজির প্রবাহ ঘটবে।
ফলে ইউএস ট্রেজারি ও ডলারের মান বাড়বে। পাশাপাশি প্রিমিয়ামে ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে আস্থা হারাবে। এ বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ১ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে যা প্রত্যাশার চেয়ে কম। গত মার্চে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় মার্কিন সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংক। ইউরোপের ক্রেডিট সুইস ব্যাংকেও ধস নামে। এতে বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা দেখা যায়। দ্রুত নানা পদক্ষেপ নিলেও সে ধাক্কা এখনও কাটিয়ে ওঠা যায়নি।
এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়