নিউইয়র্ক     সোমবার, ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টায় পুতিনের দু’বার বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টায় পুতিনের দু’বার বৈঠক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’বার বৈঠক করেছেন। বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বেল্টা নিউজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘কিছু ইস্যু চূড়ান্ত করতে’ তারা আলোচনায় বসেছিলেন।

বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, বুধবার পুতিন-লুকাশেঙ্কোর মধ্যে বৈঠক হয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গের জাদুঘরে। সেখানে একসঙ্গে সকালের নাস্তা করেছেন তারা। এর আগের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটস-এর (সিআইএস) সম্মেলনে আলোচনায় বসেছিলেন এ দুই নেতা।

রাশিয়া বেলারুশের ভূমি ব্যবহার করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও হামলা চালাতে পারে বলে শঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। এর মধ্যেই বেলারুশের প্রেসিডেন্টকে রাশিয়ায় আলোচনার জন্য ডেকেছেন পুতিন। তবে বেল্টা নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘে একটি শান্তি সম্মেলন করতে চান যারা। যার নেতৃত্বে থাকবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকতে পারেন গুতেরেস। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তবে এ সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর পক্ষে নন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারের মুখোমুখি হলেই কেবল তাদের শান্তি আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে।

শান্তি সম্মেলনের ব্যাপারে ইউক্রেনীয় মন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রতিটি যুদ্ধ কূটনৈতিক পন্থায় শেষ হয়। প্রতিটি যুদ্ধ শেষ হয় আলোচনার টেবিলে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নেওয়া ব্যবস্থার ওপর।’ তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বছরপূর্তির সময় ফেব্রুয়ারিতে এ শান্তি সম্মেলন আয়োজন করা যেতে পারে।

মন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা আরও বলেছেন, ‘এ সম্মেলন আয়োজনের জন্য জাতিসংঘ হবে সেরা কেন্দ্র। কারণ এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশকে সুবিধা দেওয়ার জন্য না। এই সম্মেলনটি সত্যিকার অর্থে সবাইকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি

শেয়ার করুন