রাজধানীর বিষাক্ত বাতাস ও পরিবেশ দূষণ নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। পরিবেশ দূষণ রোধে বিআরটিএ, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী-এমপিদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। সোমবার বিকালে ও রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই ক্ষোভ প্রকাশ করে একই ধরনের দুটি পোস্ট করেন। এতে ভাঙাচোরা কয়েকটি গাড়ির ছবি জুড়ে দেন।
পোস্টে তিনি লিখেন- ‘এই বিষাক্ত বাতাসে প্রতিদিন হাজার হাজার/ লাখ লাখ মানুষ মারাত্বক সাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে অথচ কারো কোনো মাথা ব্যাথা নাই- কোথায় ইজঞঅ ? কোথায় পরিবেশ মন্ত্রণালয় ? কোথায় আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ ? সিটি কর্পোরেশনের মেয়রবৃন্দরা কোথায় ? তাদের কাজটা আসলে কি ?’
মো. ইয়ামিন জামিল প্রান্ত নামে একজন লিখেন- ‘ঢাকা শহরে যানবাহন চলে তার অধিকাংশই ফিটনেসবিহীন। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট খুবই দুর্বল। অধিকাংশ রোডের ফুটপাত দখল থাকে। বনায়ন কর্মসূচি তেমন ভাবে পরিলক্ষিত হয় না। অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কিন্তু এসব দেখার জন্য যেসব মন্ত্রণালয় রয়েছে তাদের কাজ অনেকটাই দায়সারা।
এর প্রতিকার কোথায়??’
শরীফ মাহমুদ লিখেন- ‘গাড়ীর ফিটনেস সনদ প্রদানকারী কর্মকর্তা এসিরুমে বসেই গাড়ীর ফিটনেস প্রদান করেন। অথচ কাগজে কলমে গাড়ী বিআরটিএ আসবে এবং ফিটনেস প্রদানকারী অফিসার স্বশরীরে উপস্থিত থেকে গাড়ী অবস্থা দেখে ফিটনেস প্রদান করতে হবে।’
ইসরাফিল হোসেন লিখেন- ‘মাননীয় সংসদ সদস্য এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বৃন্দরা সবৎপবফবং ও রেঞ্জ রোভারে করে চলাচল করে তাই তাদের কোন অসুবিধা হয় না। সাধারণ জনগণের জন্য কেউ কাজ করে না। সবাই নিজের আখের গোছাচ্ছে। আমাদের এলাকায় রাত ৯ টার সময় মুখের উপর এমন ভাবে ঝাড়ু দেয় এতে করে অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দিবে তাও কেউ দেখার নেই। আমরা যারা ফিটনেস এর সাথে জড়িত আমরা জানি এই ধুলাবালি এবং কালো ধোয়া আমাদের রেস্পাইরেটারি সিস্টেমের জন্য কতটা ক্ষতিকর।’ সূএ : মানবজমিন