নিউইয়র্ক     শনিবার, ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে অনিয়ম, ভারতে বিবিসির বিরুদ্ধে ইডির মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ০২:০৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ০২:০৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে অনিয়ম, ভারতে বিবিসির বিরুদ্ধে ইডির মামলা

ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বিদেশি মুদ্রা লেনদেন আইন (ফেমা) লঙ্ঘনের অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রের বরাতে পিটিআই এই খবর জানিয়েছে। এ বিষয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ইডি দুই সপ্তাহ আগে মামলাটি করেছে। বিবিসির ভারতীয় শাখার কর্তাসহ বেশ কয়েকজনকে ইডি ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি এক তথ্যচিত্র তৈরি করে। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কেয়েশ্চেন’ নামের দুই পর্বের সেই তথ্যচিত্রে গুজরাট দাঙ্গার জন্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। ভারত সরকার ওই তথ্যচিত্র আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলেও সামাজিক মাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল, যাতে সেটি দেশে প্রদর্শিত হতে না পারে। টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমকে বলা হয়েছিল, ওই তথ্যচিত্রের ‘লিংক’ মুছে ফেলতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নানাভাবে নানা মহলে ওই তথ্যচিত্র ভারতে প্রদর্শিত হয়েছে। সরকার জানিয়েছিল, ওই তথ্যচিত্র অভিসন্ধিমূলক। মোদির সম্মানহানির জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি। দেশের নাম খারাপ করার জন্য এক ঘৃণ্য চক্রান্ত।

এর কিছুদিন পর গত ফেব্রুয়ারিতে বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে আয়কর বিভাগ হানা দেয়। তিন দিন ধরে তল্লাশি চালায়। সরকারিভাবে আয়কর বিভাগ অবশ্য বলেছিল ওটা তল্লাশি নয়, ‘সার্ভে’ বা সমীক্ষা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা সরকারের ভূমিকায় সরব হয়। বিরোধী স্বর রুদ্ধ করতে ইডি, সিবিআই, আয়কর বিভাগসহ বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহারের জন্য সরকারকে সমালোচিত হতে হয়।

আয়কর বিভাগ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানা না গেলেও ইডি যে সক্রিয় তা বোঝা গেল এই মামলার খবরে। ইডির সূত্রের বরাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, বিবিসিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখা গেছে। এসব বিষয়ে ইডি ওই সংস্থার কর্তাদের বয়ান রেকর্ড করতে চায়। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে বিবিসির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন