প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘বিএনপিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা সেই অনুরোধ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে। বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে অনড়। এক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে বিএনপি কিংবা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের সুযোগ নেই।’
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দরবার হলে জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বিএনপির ছেড়ে দেওয়া সংসদীয় আসনগুলোতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন গ্রহণ করা হবে। তবে ওইসব কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের আর্থিক সঙ্গতি কমিশনের আপাতত নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচনের সক্ষমতা রয়েছে। আরও ইভিএম কেনার জন্য সরকারের কাছে আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ওই বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে নতুন মেশিন কিনে আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে কমিশন।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছু ইভিএম নষ্ট হয়েছে। এরমধ্যে কিছু মেশিন মেরামতযোগ্য, আর কিছু একেবারেই বিনষ্ট। এ মেশিনগুলো জাতীয় সম্পদ। এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে, যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে আছে। ওই প্রকল্পটি অনুমোদন হলে ইভিএমগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এতে দেশের অর্থ সাশ্রয় হবে।’
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম, বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনসহ সরকারি কর্মকর্তারা।