নিউইয়র্ক     সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বাজওয়ার মেয়াদ বাড়িয়ে ভুল করেছি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৩:১৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৩:১৭ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
‘বাজওয়ার মেয়াদ বাড়িয়ে ভুল করেছি’

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ বৃদ্ধির ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাঁর সরকার। পাকিস্তানের বোল নিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ইমরান। তিনি বলেন, বাজওয়া ‘ডাবল গেম’ খেলেছেন। তিনি পরে তা বুঝতে পেরেছেন। বাজওয়া পিটিআই সদস্যদের কাছেও ভিন্ন বার্তা দিতেন। খবর জিও নিউজ–এর।

ইমরান খান অবসরে যাওয়া সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তাঁর সরকার বাজওয়ার মেয়াদ বাড়ানোর পরেই তাঁর অদ্ভুত আচরণ খেয়াল করতে থাকেন। এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, বাজওয়া যা বলতেন, তিনি তা-ই বিশ্বাস করতেন। তিনি বাজওয়াকে বলতেন, ‘আমরা দুজনই পাকিস্তানকে নিয়ে ভাবি এবং দেশকে রক্ষা করাই আমাদের উদ্দেশ্য।’ কিন্তু তিনি কীভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তা জানতে পারেননি।

ইমরান খান আরও বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তিনি একটি খেলা সম্পর্কে প্রতিবেদন পেয়ে আসছিলেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিরোধী দলের ওই খেলা সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। তবে ওই সময় বাজওয়ার মেয়াদ বাড়ানো তাঁর উচিত হয়নি। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী, তাঁর হাতে আর খুব বেশি পথ খোলা ছিল না।

ইমরান খান আরও বলেন, তিনি শক্তিশালী সেনাবাহিনী দেখতে চেয়েছিলেন। ওই সময় নতুন করে সেনাবাহিনীর গঠন করা হচ্ছিল। তাদের স্থিতিশীল হতে কিছুটা সময় দিতে চেয়েছিলেন তিনি। ইমরান অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও বিভাজন তৈরি করেছিলেন বাজওয়া। তিনি এক দলকে পিটিআইকে সমর্থন করতে ও অন্য দলকে পিএমএল-এনকে সমর্থন করতে বলেন। তিনি এভাবে দুপক্ষেই খেলা চালিয়ে যান।

পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি তাঁর দলের নেতাদের সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। গতকাল রোববার পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী এক টুইটে বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন জোট যদি নির্বাচন থেকে পালিয়ে যেতে থাকে, আমরা পাঞ্জাব ও পাখতুনখাওয়ায় প্রাদেশিক নির্বাচনে যাব এবং জাতীয় পরিষদের নির্বাচন পরে অনুষ্ঠিত হবে।’

পিটিআইয়ের মিত্র আওয়ামি মুসলিম লিগের প্রধান শেখ রশিদ বলেছেন, হয় ইমরান ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ পাবেন অথবা সংসদ ভেঙে দেবেন। বল এখন সরকারের কোর্টে।

শেয়ার করুন