বাংলাদেশের সাড়ে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আনছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, দেশে মোট সাড়ে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার। তারা ১০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আনছে। বর্তমান বিশ্ব বাজারে দেশের উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সারা অনেক অবদান রাখছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এই তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ফ্রিল্যান্সারা বেশি বেশি আয় করছে। ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থে আমাদের রেমিট্যান্স দিন দিন সমৃদ্ধি হচ্ছে।
গত ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (বিএফডিএস) আয়োজনে ‘সিটি ব্যাংক বিএফডিএস কনফারেন্স ২০২৩’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের অবদান সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অর্জিত বিদেশি আয় নির্ধারিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে দেশে আনলে এর বিপরীতে চার শতাংশ নগদ সহায়তা পাবেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং দেশের প্রতিটি ব্যাংককে এই চার শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্মাট বাংলাদেশ গঠনে সরকার নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করেছেন বলেই বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে, এটা বড় অর্জন। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন গ্রামে বসেই তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সাররা মুক্ত বিহঙ্গের মতো। তারা যা খুশি তাই করে। আমাদের তরুণরা অনেক সাহসী। তরুণ সময়ে এত সাহস আমার ছিল না।
অনুষ্ঠানে বিএফডিএস প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র সহসভাপতি জসিম উদ্দিন জয় বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের সুখে-দুঃখে সব সময় আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের জীবনমান উন্নয়নসহ মেধা ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে বিএফডিএস। বিএফডিএসের চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান বলেন, বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার দেড় ট্রিলিয়ন ডলার। এ বাজারে কাজ করছে বাংলাদেশের প্রায় অননাইন ও অফলাইন মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ বাংলাদেশি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কর্মী হিসেবে আমরা বিশ্বের দ্বিতীয়। অথচ আয়ের দিক থেকে অষ্টম। আমদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।