নিউ ইয়র্ক : জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র নোটিশের বিষয়ে গত বুধবার (১২ জানুয়ারী) সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম বলেছেন, কারন দর্শানোর নোটিশ ‘ইনভেলিড’। আমি একজন নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক। ট্রাস্টিবোর্ড কখনোই তাদের সিদ্ধান্ত আমাকে লিখিতভাবে দেননি। তারা মধ্যরাতে অন্ধকার বেজমেন্টে তা বলেছিল। আমি তা অনেককেই জানিয়েছিলাম। অনুগ্রহপুর্বক সংগঠনের সদ্য সাবেক সভাপতি মইনুল হক চৌধুরী ও সদ্য সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান শেফাজের সাথে কথা বলুন। কারন ভবনটি কেনা হয়েছিল সদ্য সাবেক কমিটির মাধ্যমে। আমি মইনুল চৌধুরী ও শেফাজের সাথে ভবনটি ক্রয়ের লিগাল এগ্রিমেন্ট ও প্রয়োজনীয় রিলিজপত্র স্বাক্ষর করেছিলাম। আমি এটা করেছি শুধু ট্রানজিশনাল পিরিয়ডের জন্য। যখনই ৬ লাখ ১০ হাজার ডলারের মর্টগেজ ও অন্যান্য খরচের দায় থেকে মুক্ত হবো তখনই ভবনটি জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র কাছে ট্রান্সফার করতে বাধ্য থাকব।
সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম আরও বলেন, এই ভবনটির দাম এখন ১,৫ মিলিয়ন ডলার। আমার বোধগম্য হচ্ছে না কেন বর্তমান সভাপতি, কার্যকরি কমিটি ও ট্রাস্টি বোর্ড এই ভবনের বিরুদ্ধে বিষ ছড়াচ্ছেন? আমি কোনভাবেই এই মুল্যবান সম্পদ হাতছাড়া হতে দেব না। এসোসিয়েশনের সাধারন সদস্যরাই এই ভবনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ জনের গ্রুপে কাজ হবে না (এটাই হচ্ছে বর্তমান প্রেসিডেন্টের খারাপ নেতৃত্ব)। সবাই জানেন, ফিলাডেলফিয়ার ভবন তিনিই বিক্রি করেছিলেন। তিনি সবাইকে রেখেছিলেন অন্ধকারে। তিনিই বিনা প্রয়োজনে এস্টোরিয়ায় অফিস ভাড়া করে অর্থ অপচয় করেছেন। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম বর্তমান সভাপতি বদরুল খানের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি কি এমন একটি প্রোপার্টি কিনতে পারবেন? আমি নিশ্চিত, তা আরও ৩০ বছর লাগবে। ঘৃনাকারিরা (হেটারস) অফিসটি দেখে যান । তারপর বিরোধিতা করুন।
প্রসঙ্গত, সভাপতি বদরুল খান ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম একই প্যানেলের প্রার্থী হিসেব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনের পরপরই তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয় এবং সংগঠনের জন্য ভবন ক্রয়কে কেন্দ্র করে বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে।