বর্ণ নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে বাকিংহাম প্যালেসের এক নারী সদস্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সহকারী হিসেবে ছয় দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করা সুসান হাসি (৮৩) নামের ওই নারী প্রিন্স উইলিয়ামসের ধর্মমাতাও ছিলেন।
আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, সুসান হাসির বিরুদ্ধে দাতব্য সংস্থ্য ‘সিসটাহ স্পেস’- এর প্রধান নির্বাহী এনগোজি ফুলানি বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ তোলেন।
এক টুইট পোস্টে সেই ঘটনার কাহিনি তুলে ধরে কৃষ্ণাঙ্গ ওই নারী লিখেছেন, প্যালেসের এক নারী সদস্য এসএইচ (সুসান হাসি) তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তিনি আফ্রিকার কোন অঞ্চলের মানুষ?’ ফুলানি তখন বলেন, তিনি আসলে পূর্ব লন্ডনের মানুষ।
ঘটনাটি রাজা চার্লসের স্ত্রী কুইন কনসোর্ট ক্যামিলার আয়োজনে পারিবারিক সহিংসতা বিরুদ্ধে লড়াই শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঘটে। সেখানে আফ্রিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের নারীদের নিয়ে কাজ করা ফুলানির সংস্থা সিসটাহ স্পেসও অংশ নিয়েছিল।
রাজপ্রাসাদ কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ঘটনা মারাত্মক ও তদন্তের পর্যায়ে গেছে। এটি আসলে ‘অগ্রহণযোগ্য ও গভীর অনুতাপের’ মন্তব্য ছিল। এ বিতর্কের পরপরই পদত্যাগ করেন সুসান হাসি।
এদিকে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও বর্ণবাদের অভিযোগ ওঠে। বছর দু-এক আগে প্রাসাদ ছেড়ে যাওয়া ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল এক সাক্ষাত্কারে জানান, তাদের ছেলে আর্চি হ্যারিসনের জন্মের আগেই তার গায়ের রঙ কী হবে সে বিষয়ে বাকিংহাম প্যালেসে আলোচনা চলছিল। কারণ মার্কেল ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারে বিয়ে হওয়া প্রথম মিশ্র বর্ণের ব্যক্তি। মার্কেলের বাবা শ্বেতাঙ্গ হলেও মা কৃষ্ণাঙ্গ।