নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ৮ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ  | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের পোড়া টাকা ফিরিয়ে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩ | ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ | ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের পোড়া টাকা ফিরিয়ে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

রাজধানীর বঙ্গবাজারের ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া টাকা। ফাইল ছবি

রাজধানীর বঙ্গবাজারের ভয়াবহ আগুনে প্রায় পাঁচ হাজার দোকানের মালামালসহ নগদ টাকা পুড়ে গেছে। বঙ্গবাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া টাকা পরিবর্তন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্ত হয়েছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুড়ে যাওয়া টাকার পরিবর্তন করে নতুন টাকা দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পোড়া টাকার ৫১ থেকে ৭৫ শতাংশ অবশিষ্ট থাকলে পুড়ে যাওয়ার টাকার ৫০ শতাংশ পাবেন মালিক। আর ৭৬ থেকে ৯০ শতাংশ অবশিষ্ট থাকলে পাবেন ৭৫ শতাংশ পাবেন টাকার মালিক। তাদের দাবি, নির্দেশনা অনুযায়ী টাকার অর্ধেক পুড়লেই মালিক টাকা পরিবর্তন করতে পারবেন না; পুরোটাই বাতিল বলে গণ্য হবে। যদি অর্ধেকের কম পোড়ে সেই ক্ষেত্রে টাকার অবশিষ্টাংশের আনুপাতিক হারে টাকা ফেরত দেবে। এক্ষেত্রে নোট পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ছেঁড়া ও পোড়া টাকার বদল সম্পর্কিত নির্দেশনার ১১ ধারাতে বলা হয়েছে, কোনো টাকার কমপক্ষে ৫১ শতাংশ অবশিষ্ট থাকলে তার মালিক আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। এজন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি জিডি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্রসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি বিভাগে আবেদন করতে হবে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মো. সরোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এ সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু নির্দেশনা রয়েছে, সেটাই অনুসরণ করা হবে। পোড়া টাকাসহ ক্ষতিগ্রস্ত টাকার মালিক আবেদন করলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই নির্দেশনা অনুসরণ করে টাকা পরিবর্তন করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তবে মালিক অর্ধেক বা অর্ধেকের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত টাকা তথ্য-প্রমাণসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরারবর আবেদন করলে টাকা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় আসতে পারে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। তবে এটা প্রায় অসম্ভব।

সম্প্রতি বঙ্গবাজারে আগুনে পোড়া টাকা পরিবর্তন করার জন্য কয়েকজন পোড়ার টাকার অংশসহ প্রয়োজনীয় ফর্মালিটি মেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি বিভাগে আবেদন করেছেন। আবেদনটি গ্রহণ করে কারেন্সি বিভাগ পরবর্তি শুনানির জন্য বৈঠকের দিন ধার্য করেছে। বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট রিফান্ড রিকুইজিশন-২০১২’ নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন