মৌলভী শেখ আবদুল হালিম মর্মান্তক সংবাদটা শোনেন ১৫ আগষ্ট সকালে রেডিওতে। রেডিওতে ঘোষণা করা হয়, স্বৈরাচারী শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘোষণা শুনে সমগ্র দেশবাসীর মতো তিনিও স্তম্ভিত হয়ে যান। হতভম্ব হয়ে পড়েন, তার কাছে মনে হয় এ যেন অবিশ্বাস্য ঘটনা। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই বিষাদ মাখা কোন অনাকাক্ষিত ইস্যু। পরদিন (১৬ আগষ্ট) দুপুর ১২টার সংবাদে বলা হয়, শেখ মুজিবের লাশ টুঙ্গীপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই দিনই থানার ওসি মৌলভী সাহেবকে ডেকে বলেন, আপনি তেরটা কবরের বন্দোবস্ত করেন।
থানা থেকে সোজা তিনি চলে আসেন বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। কবর খোড়া শুরু করেন। তবে একটা নয়, তেরোটা কবর খোড়েন তিনি।। মনে মনে ভাবলেন, তেরোটি কবর খোড়ে কী হবে? আগে একটি খুড়ি। তারপর দেখা যাবে, যা হয় হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় কবর খোড়া শুরু করেন, আর ভাবেন, এখানেই কি বঙ্গবন্ধুর দাফন হবে? যদি তাই হয়, আমি যদি তাকে কবর দিতে পারি। তবে আমি ধন্য হব।
দুপুর ১২টার আগেই কবর খোড়া শেষ হলো। তার পরপরই দ্বিতীয় ঘোষণাটা তিনি শোনেন রেডিওতে। নিশ্চিত হয়ে যান, বঙ্গবন্ধুকে এখানোই সমাহিত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক গোরস্থানে প্রথমে রয়েছে তার মায়ের কবর, তারপর বাবার, বাবার কবরের পশ্চিমে সবদিকে একটু জায়গা ছেড়েই বঙ্গবন্ধুর কবর খোড়েছেন তিনি। অন্যান্যদের মধ্যে মদেল ফকির (চৌকিদার), আবদুল মান্নাফ, ইমাম উদ্দিন গাজী তাকে কবর খোড়ায় সাহায্য করেন।
টুঙ্গিপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনি। পুলিশ কারফিউ জারি করে গ্রাম ফাঁকা করে দেয়। ডাক বাংলো এলাকায় নিরাপত্তা আরও বেশি। পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। রেডিওর খবরে অনেকেই জেনে গেছেন- এই নিরাপত্তার কারণ কি? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই টুঙ্গিপাড়া নিস্তব্ধ হয়ে যায়। মানুষ শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন। যারা জানে না- তারা অন্যদের জিজ্ঞেস করছে, এখানে কি হবে? যারা জানে- তারা ফিসফিস করে বলছে, মুজিবের লাশ আসবে। ফলে সবার মধ্যেই অধীর অপেক্ষা- কখন লাশ আসবে?
বেলা দেড়টার দিকে বঙ্গবন্ধুর লাশ হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়া ডাক বাংলায় পৌঁছে। অর্ডিন্যান্সের জিডিও (গ্যারিসন ডিউটি অফিসার) মেজর মহিউদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে একটি বিএএফ (বাংলাদেশ এয়ারফোর্স) হেলিকপ্টারে করে বঙ্গবন্ধুর লাশ দাফনের জন্য টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। মেজর মহিউদ্দিন প্রথমে হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসেন। তিনি কয়েকজন লোক ডাকেন। হেলিকপ্টার থেকে কফিন নামাতে সৈনিকদের সহায়তা করতে। এগিয়ে আসেন টুঙ্গিপাড়ার তৎকালীন সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার কাসেম, পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার আনোয়ার হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হাই।
হেলিকপ্টার থেকে কফিন নামানোর পর মেজর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে ১৩ জন সৈনিক লাশের কফিন নিয়ে রওনা হন বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে। যাওয়ার সময় মেজর সাহেব হেলিকপ্টার পাহাড়া দেবার জন্য ডাকবাংলোয় আরো ১২-১৩ জন সৈন্য রেখে যান। কফিনের পেছনে পেছনে দূরত্ব বজায় রেখে আরও লোকজন আসতে থাকে। নিরাপত্তার কারণে পুলিশ কাউকে কাছে ভিড়তে দেননি।
বেলা দুইটার দিকে সৈনিকরা কফিন বয়ে আনে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে। ইতোমধ্যেই বাড়ির পাশের রাস্তায় ব্যাপক ভিড় জমে যায়। কিন্তু কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয় নি। মেজর সাহেব স্থানীয় মৌলভীকে ডেকে আনার সংবাদ দিলে শেখ আবদুল হালিম এগিয়ে আসেন।
মেজর জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি এখানকার মৌলভী? উত্তরে তিনি বলেন, জ্বি। এরপর তিনি তাকে রক্তাক্ত কাপড় চোপড়সহ বিনা গোসলে লাশ কবর দেয়ার নির্দেশ দেন। তার আগে তাকে জানাজা পড়ার নির্দেশ দেন। মেজর সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলেন, কার জানাজার ব্যবস্থা করবো? মেজর উত্তরে বললেন, শেখ মুজিবের ডেড বডি। তখন তিনিও ইংরেজিতে বললেন, ইজ দ্য ডেড বডি অব শেখ মুজিব? উত্তর দিলো- হ্যাঁ।
শেখ আবদুল হালিমের উদ্দেশ্য হলো- তিনি কফিন খুলবেন। বঙ্গবন্ধুকে দেখবেন, তারপর মাটি দেবেন। কিন্তু মেজর সাহেব তাকে বললেন, কফিন খোলা যাবে না, কফিনসহই জানাজা পড়ে মাটি দিতে। কিন্তু শেখ আবদুল হালিম তা চাইছিলেন না। বুকে সাহস নিয়ে তিনি মেজর সাহেবকে পুনরায় বললেন, আই মাষ্ট সী দ্য ডেড বডি। মেজর সাহেব বললেন, ডু ইউ নট বিলিভ আস?
তিনি বললেন, আই বিলিভ ইউ, বাট ওয়ান্ট টু সি ফর মাই স্যাটিসফেকশন। তারপর মেজর কফিনের তালা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গে ২-৩ জন্য সৈন্য তা খুলে দেয়। প্রথমেই তিনি দেখলেন, বঙ্গবন্ধুর মুখ রক্তাক্ত। কফিনের বাইরে অবশ্য কোন রক্ত নেই। মনে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু মরে নি। কফিনে ঘুমিয়ে আছে। কিছু সময় তিনি কাজের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন। সেনা সদস্যরা দ্রুত কাজ করার ধমক দিলে তার চেতনা ফিরে আসে।
তারপর তিনি মেজর সাহেবকে বলেন, ওনাকে তো গোসল দেয়া হয়নি। বিনা গোসলে কোন মুসলমানের জানাজা পড়ার জায়েজ নেই। মেজর জিজ্ঞাসা করেন, বিনা গোসলে মুসলমানের জানাজা হয় না? বললেন, হয়, কেবল মাত্র শহীদের লাশ বিনা গোসলে জানাজা করা যায়। তবে সম্ভব হলে তাও গোসল করানো উচিত। মেজর তারপর লাশের গোসলের নির্দেশ দেন। সময় দিলেন ১৫ মিনিট। সেনা অফিসাররা (সব নিয়ম সেরে) ১৫ মিনিটের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর লাশ দাফনের অনুমতি দেন। মৌলভি শেখ আবদুল হালিম পুনরায় বলেন, গোসল করাতে আমার কজন লোক লাগবে। তিনি তাকে বললেন, সর্বাধিক ৮ জন নিতে পারেন।
বেলা তখন ২টা বেজে গেছে। মেজরের কথা মতো তিনি ৮ জন লোক ডাকেন। এদের মধ্যে আগে যারা কবর খোড়ায় সহায়তা করেছে তাদেরও তিনি ডেকে নেন। সবাই মিলে কফিন থেকে লাশ নামান। রাখেন একটি কাঠের (তক্তার) ওপর। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি হতেই তারা তক্তা যোগাড় করে আনেন। গোসল করাতে সাবান লাগবে, আর কাফনের কাপড় লাগবে। এগুলো পাবেন কোথায়? সঙ্গে সঙ্গে তিনি একটি ছেলেকে পাঠান টুঙ্গিপাড়া সাহেরা খাতুন হাসপাতালে।
শেখ আবদুল হালিমের দ্বিতীয় পুত্র শেখ আব্দুল হাসিব ওই হাসপাতালের ষ্টোর ইনচার্জ। তার কাছে সাবান, গরম পানি ও কাফনের কাপড় আনার জন্য। অল্পক্ষণের মধ্যেই ছেলেটি একটা ৫৭০ সাবান ও রেডক্রসের চার খানা সাদা পাড়ওয়ালা শাড়ি নিয়ে ফেরত আসে। গায়ের সাবান না পেয়ে স্থানীয় আশরাফ মোল্লার দোকান থেকে কেনা হয় ৫৭০ সাবান। রেডক্রসের মালা শাড়ির জমিনে সাদা আর পাড়ে লাল-কালো। সেই পাড় ছিঁড়ে বঙ্গবন্ধুর কাফন তৈরি করা হয়। ৫৭০ সাবান দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গোছল করানোর সময় তারা খালি গা উল্টেপাল্টে সব দিক দেখেন। পেটের নীচে পিছন দিক হতে একটি গুলি ঢুকে সামনের দিকে তলপেট দিয়ে বেরিয়ে গেছে। অর্থাৎ সামনে থেকে গুলি করার পর বঙ্গবন্ধু সিঁড়িতে উপুর হয়ে পড়ে গেলে, তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য অথবা আক্রশ বশত: তার পিঠে আরও একটি গুলি করে।
নয়টা গুলি বা বুকের নীচের দিয়ে চক্রাকারে ঢুকেছে, তবে বের হয়নি। বা হাতে তর্জনীতে একটি গুলি লেগেছে এবং আঙ্গুলটি প্রায় ছিন্ন ও থেতলানো। দুই বাহুর উপরিভাগে আছে দুইটা। আরেকটি সম্ভবত ডান হাতের তালুতে। দুই পায়ে চারটি। অর্থাৎ দুটি হাটুর উপরে এবং দুটি নীচে অর্থাৎ ১৮টি গুলি বঙ্গবন্ধুর শরীরে লাগে। তাছাড়া দুই পায়ের গোড়ালির দুটি রগই কাটা । তবে মুখে বা বুকে কোন গুলির চিহ্ন নেই।
নৃসংসতা দেখে মৌলভী শেখ আব্দুল হালিমের চৌখ দিয়ে পানি চলে আসে। অনেক কষ্টে তিনি নিজেকে সংবরণ করেন। কী বীভৎসভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত শরীরের উপরে সহিংস হয়েছে ঘাতকেরা। যে তর্জনীর ইশারায় ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু জনসমুদ্রে ঢেউ তুলেছিলেন। ১৫ আগষ্ট কালোরাতে ঘাতকরা তাকে হত্যা করে তর্জনীটিও গুলি করে প্রায় ছিন্ন করে দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর লাশ সাদা চাদর দিয়ে ঢাকা। পরনে চেক লুঙ্গি, গায়ে গেঞ্জি ও সাদা পাঞ্জাবি। মৃত্যুর পরও গায়ের পাঞ্জাবির বুক পকেটে রয়ে গেছে চশমা ও সাইড পকেটে তার প্রিয় পাইপ।
গোসলের পর কাফনের কাপড় পড়ানো হলো। এখন বঙ্গবন্ধুর জানাজা পড়ানো হবে। মৌলভি সাহেব মেজরকে বলেন, জানাজা পড়ার জন্য আরও কয়েক জন লোকের অনুমতি দিন। মেজর বলেন, বেশি লোক নেয়া যাবে না। আপনি আরও কয়েক জনকে ডেকে নেন। তবে তাড়াতাড়ি করবেন। আমাদের হাতে বেশি সময় নেই। মৌলভী শেখ আবদুল হালিম আরও কয়েক জন লোক ডেকে আনেন।
তবে পুলিশ বেশি লোক আসতে দেয় না। সর্বসাকুল্যে জনা পঁচিশেক লোক নিয়েই তিনি জাতির পিতার জানাজার নামাজ পড়ান। জানাজা শেষে তারাই মিলে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টার লাশ কবরে নামিয়ে দাফন সম্পন্ন করেন। পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা শেখ সাহেরা খাতুনের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জানাজা ও দাফন শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌলভী আব্দুল হালিম।
লাশ দাফনের প্রামাণ্য হিসাবে মেজর মহিউদ্দিন আহমেদ ডাইরিতে শেখ আব্দুল মান্নাফের স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। কবর এলাকায় পুলিশ পাহাড়া রেখে মেজরের নেতৃত্বে সৈন্যরা চলে যায়। বঙ্গবন্ধুর দাফনে অংশ নিতে অনেক লোকই টুঙ্গিপাড়া উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কিন্তু আসতে পথে পথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন আটকে দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর কবর পাহারা দেয়ার জন্য মুশতাক সরকার ১৫ জন পুলিশ মোতায়েন করে। তারা দিবা-রাত্র পালা করে পাহারা দেয়। বাড়ির লোক ছাড়া কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দেয় নি। কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয় না কবরের কাছে। বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন নিষিদ্ধ করা হয়। কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে অনেকেই পুলিশের হাতে নাজেহাল হয়। তারপর পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু অনুরাগীরা কবরে এসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর দাফনের চারদিন পর বাড়ির মসজিদে মিলাদ পড়তে গেলেও পুলিশ বাধা দেয়। কোনভাবেই লোকজন নিয়ে তার মিলাদ পড়তে দেয়া হয় না। কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধুর গৃহে একজন মৌলভী ডেকে মিলাদ পড়ানো হয়। তবে এলাকাবাসী টুঙ্গিপাড়ার অন্যান্য মসজিদে মিলাদের ব্যবস্থা করেন।
শেষ নিঃশ্বাস বধি অনাড়ম্বর জীবনযাপন করে গেছেন জাতির এই মহানায়ক। তার পোশাকও ছিল সব সময় অত্যন্ত সাদাসিধে। সাদা সুতি পাঞ্জাবি-পাজামা আর কালো কোট ছিল তাঁর চিরচেনা রূপ। আর শিষ বিদায়ে কাফনের কাপড়টি যেন আরও সহজিয়া, আরও অনাড়ম্বর! রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণের যে শাড়ি এসেছিল দুঃস্থদের জন্য, তাঁর দেশের অসহায় মানুষের জন্য; সে কাপড় দিয়েই কাফন পরানো হলো তাঁকে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে লাশ টুঙ্গিপাড়া গ্রামে দাফন করে তারা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সেই ঘাতকেরাই আজ ইতিহাসের আস্তকুড়ে হারিয়ে গেছে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, জনতার অবিসংবাদিত মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের প্রকৃতির প্রতিটি কণায় কণায় মিশে আছেন তিনি। থাকবেন যতদিন এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড অস্তিত্ব থাকবে। জীবিত না থেকেও তিনি অম্লান রয়েছেন বাঙালির চেতনায় ও মননে!
ফুটনোট: মৌলভী শেখ আব্দুল হালিম টুঙ্গিপাড়ার স্থানীয় মসজিদের ইমাম। বঙ্গবন্ধুর লাশ নিজ চোখে দেখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। তাঁর সাহসিকতা ও প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর লাশের গোসল সম্পন্ন হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে পরলোকে চলে গেছেন তিনি। সূএ : জনকণ্ঠ
পরিচয়/এমউএ