পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে এক রোগী চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। কোনোভাবেই ব্যথা কমছিল না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের চোখ কপালে ওঠে। ওই ব্যক্তির পেটে ধাতব বস্তুর উপস্থিতি শনাক্ত করেন চিকিৎসক। পরে অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় ১৮৭টি কয়েন।
অবাক করা এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্নাটকে। দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ ঘটনার কথা জানিয়েছে। দিয়ামাপ্পা নামের ওই ব্যক্তি রাজ্যের রাইচুর জেলার বাসিন্দা।
তবে কবে তিনি চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন ও কবে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেসব বিস্তারিত জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি কর্নাটকের বাসিন্দা। বয়স ৫৭ বছর। প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে তিনি চিকিৎসকের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন।
চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে এক্স-রেসহ প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ফলাফল দেখে চিকিৎসক তার পেটে অস্বাভাবিক ও ধাতব জিনিসপত্র রয়েছে বলে টের পান। পরে অস্ত্রোপচার করে তার পাকস্থলী থেকে একে একে ১৮৭টি কয়েন বের করে আনা হয়।
রোগীর পরিবারের বরাত দিয়ে চিকিৎসকরা জানান, ওই ব্যক্তি সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি অবচেতন মনে এগুলো খেয়েছেন। তাই পেটে ব্যথা নিয়ে বগালকোটের হানাগাল শ্রী কুমারেশ্বর হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রে যান তিনি।
চিকিৎসকরা জানান, তার পেটে একটি মুদ্রা থাকলে এন্ডোস্কপি করে সরানো যেতো। কিন্তু ভুক্তভোগীর পেটে অনেক কয়েন থাকায় অপারেশন করতে হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগীর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। ডাক্তার ঈশ্বর কালবুর্গি বলেন, এটা আমার চাকরি জীবনে নজিরবিহীন ঘটনা।