সম্প্রতি পাকিস্তানের ওপর জাতিসংঘের সন্ত্রাসবিরোধী নজরদারি বেড়ে যেতে পারে। আগামী মাসে এ নিয়ে যাচাই বাছাই করার জন্য বৈঠক করবে জাতিসংঘ। শুধু আইন প্রণয়ন এবং তাদের প্রয়োগ নয়, বরং সন্ত্রাসবাদে সাহায্য করছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও সুবিধাভোগী হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পাকিস্তান বিদ্রোহী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সদস্যরা সোয়াত উপত্যকায় নিরপরাধ বেসামরিক লোকদের লুটপাট করার জন্য ছটফট করছে।
অন্যদিকে, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সকে (এফএটিএফ) বুঝানো হচ্ছে, জইশ-ই-মুহাম্মদের (জেএম) প্রধান মৌলানা মোহাম্মদ আজহার পলাতক আছেন। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে তাকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না।
পাকিস্তানকে কেবল আজহারই নয়, তার প্রধান সহযোগী সাজিদ মিরের ভূমিকাও জাতিসংঘের কাছে ব্যাখ্যা করতে হবে। যারা পাকিস্তানের ভেতরে ও বাইরে ছায়াময়ভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
ইসলামাবাদ আজহারকে খুঁজে বের করার জন্য তালেবান গোষ্ঠী দ্বারা শাসিত কাবুলকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু কাবুল ইসলামাবাদকে সাহায্য করতে বাধ্য নয়। আফগানিস্তান এফএটিএফ এর মাধ্যমে প্রভাবিতও নয়।
সমগ্র আফগানিস্তান ও পাকিস্তান অঞ্চল সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং এর বিপুল অর্থায়নের কেন্দ্রস্থল। তবে উভয় দেশই এই পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করেছে। চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর থেকে টিটিপি উপজাতীয় এলাকায় প্রায় ১৩টি হামলার দায় স্বীকার করেছে। এতে পাকিস্তানে টিটিপির ক্রমবর্ধমান প্রভাব বুঝা যায়।
পরিচয়/সোহেল