ধূমপান বিরোধী আইন প্রবর্তনের কথা বিবেচনা করছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এমন কিছু করতে চান যাতে পরবর্তী প্রজন্ম ধূমপানে অনাগ্রহী হয়ে উঠে। সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডে নেয়া ধূমপান বিরোধী পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বীপ দেশটি তামাক নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারির পর যাদের জন্ম তাদের কাছে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের পথেই হাঁটতে চাইছেন ঋষি সুনাক। তবে সংশ্লিষ্টদের অনেকে মনে করেন ব্রিটেনের জন্য ধূমপান বিরোধী আইন পাস করা সহজ হবে না। এর আগে ২০২২ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় হাসপাতালে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বিষয়ে নতুন নিয়মের কথা বললেও জনপ্রিয়তা বিবেচনায় বাস্তবায়ন করতে পারেননি। ওই সময় ঋষি বলেছিলেন, সময় মতো পৌঁছাতে না পারলে ১০ পাউন্ড জরিমানা দিতে হবে।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ধূমপান বিরোধী আইন পাসের মাধ্যমে দেশটিতে সিগারেট বিক্রির হার কমতে শুরু করেছে। এর আগে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তামাকজাত দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় নিষেধ করে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। ব্রিটেনের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ঋষির সমালোচনা করায় তিনি এই আইন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই অনেকের ধারণা।
কেন নিউজিল্যান্ডের ধূমপান বিরোধী নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে ব্রিটেনে- জানতে চাইলে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ধূমপানে প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া ধূমপান অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তিনি আরো বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ধূমপান থেকে মুক্ত হতে চাই। এ লক্ষ্যে আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া গর্ভবতী মহিলাদের ধূমপান ত্যাগে উদ্বুদ্ধ করতে একটি ভাউচার স্কিম চালু করেছে ব্রিটেন সরকার। খবর দ্য গার্ডিয়ান।