রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ন্যাটোর সরাসরি ‘সংঘর্ষ বৈশ্বিক’ বিপর্যয় ডেকে আনবে। স্থানীয় সময় আজ শনিবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
পুতিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘যাই হোক না কেন, রাশিয়ান সেনাবাহিনীর সঙ্গে ন্যাটো সৈন্যদের সরাসরি সংঘর্ষ একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পদক্ষেপ যা বৈশ্বিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। আমি আশা করি, যারা এমন কথা বলছেন তাঁরা এমন পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য যথেষ্ট স্মার্ট।’
এর আগে, পুতিন ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার পর ঘোষণা দিয়েছিলেন—রাশিয়া তাঁর ভূখণ্ড রক্ষায় প্রয়োজন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে। বিপরীতে গত মঙ্গলবার বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তা ভয়াবহ ফলাফল বয়ে আনবে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি বিশ্বে ‘কেয়ামত’ ডেকে আনতে পারে। গত ৭ অক্টোবর নিউইয়র্কে দলীয় এক অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘৬০ বছরের মধ্যে বিশ্ব আর কখনো এতটা পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিতে পড়েনি। ১৯৬২ সালে যুক্তরাষ্ট্র-কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর কেউ আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সরাসরি হুমকি দেয়নি। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে বিশ্বে রোজ কেয়ামতের পরিস্থিতি তৈরি হবে।’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম উল্লেখ না করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তিনি (পুতিন) এমন এক ব্যক্তি, যাকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি। তিনি যে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র, জৈব বা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছেন, তা কিন্তু কোনো ধাপ্পাবাজি নয়। ইউক্রেনে তাঁর সেনাবাহিনী ভীষণ মার খাচ্ছে। তাই রণক্ষেত্রের চিত্রপট বদলাতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ভয় দেখাচ্ছেন তিনি।’