নিউইয়র্ক     রবিবার, ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজে থেমে চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিল যাওয়ার পথ করে দিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
নিজে থেমে চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিল যাওয়ার পথ করে দিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

চট্টগ্রাম : নিজের নেতৃত্বাধীন বিজয় শোভাযাত্রা থামিয়ে বিএনপির বিজয় মিছিল যাওয়ার পথ করে দিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। গত ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের লাভ লেন মোড়ে দুই পক্ষের মিছিল মুখোমুখি হলে তিনি সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের মিছিল থামিয়ে দেন এবং শহীদ মিনার অভিমুখী বিএনপির নেতা–কর্মীদের নির্বিঘ্নে মিছিল নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ প্রতিবছর বিজয় দিবসে বিজয় শোভাযাত্রা বের করে। বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী। আজ বেলা ১১টার দিকে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের বিজয় মঞ্চ থেকে মহিবুল হাসানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কাজীর দেউড়ি ও জামালখান হয়ে লাভ লেন মোড়ে এসে পৌঁছায় সাড়ে ১১টার দিকে।

এ সময় কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির একটি বিজয় মিছিল ফুল নিয়ে শহীদ মিনারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। লাভ লেন মোড়ে এসে দুটি মিছিল মুখোমুখি হয়ে পড়ে। দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিশাহারা হয়ে পড়েন। এ সময় বিজয় শোভাযাত্রা থামিয়ে দেন মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি মাইকে বিএনপির নেতা–কর্মীদের মিছিল নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সহনশীল ও সহাবস্থানে বিশ্বাসী। সবার মত ও পথের অধিকার রয়েছে। আওয়ামী লীগ এটা বিশ্বাস করে। প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। তাই আজ বিএনপির মিছিল দেখে আমাদের মিছিল থামিয়ে দিই। তারা চলে যাওয়ার পর আমরা শোভাযাত্রা নিয়ে বিজয় মঞ্চে চলে যাই। আমাদের শোভাযাত্রা বড় ছিল। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।

আজকের ঘটনা নিয়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘লাভ লেন অতিক্রম করার সময় দুই মিছিল মুখোমুখি হয়। তখন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। আমাদের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব আবুল হাসেম। পরে মহিবুল হাসান চৌধুরী তাঁদের মিছিলটি দাঁড় করিয়ে আমাদের যাওয়ার পথ করে দেন। কোনো সমস্যা হয়নি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বলেন, দুই মিছিল মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষা উপমন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতা করেছেন।

শেয়ার করুন