বনি কাপুর এবং শ্রীদেবীর মেয়ে জাহ্নবীর অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় ২০১৮ সালে ‘ধড়ক’ ছবিতে। স্বজনপোষণের দায়ে অভিযুক্ত তিনি। বাবার টাকায় সিনেমা পাচ্ছেন প্রায় এমন অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া এই নায়িকা প্রথা ভেঙে নাম লেখাচ্ছেন নারীপ্রধান সিনেমায়।
এক সময়ে বলিউডের বেশির ভাগ ছবিই তৈরি হত নায়কদের কেন্দ্র করে। নায়িকারা সেখানে নিছকই গৌণ। কয়েকটি গান এবং প্রেমের দৃশ্য— তাঁদের জন্য বরাদ্দ ছিল এটুকুই। কিন্তু সময়ের সাথে সেই রীতি বদলেছে। তৈরি হয়েছে একাধিক নারীকেন্দ্রিক ছবি। বক্স অফিসেও এসেছে সাফল্য। জাহ্নবী অবশ্য বললেন, ‘যখনই কোনও ছবি করি, জানতে চাওয়া হয় নায়ক কে। আমি বলি ‘আমি’।
আরও খবর।‘ নগ্নতা নয়, পোশাকের স্বাধীনতা প্রচার করছি’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘ধড়ক’ অভিনেত্রী বললেন, “আমি এমন দুটো সিনেমা করেছি, যেখানে প্রধান চরিত্র নারী। আমি সেই ভূমিকায় অভিনয় করেছি। প্রত্যেকবার আমি এগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলেই দেখেছি লোকে অবাক হয়ে যান। ‘দ্য কার্গিল গার্ল’ এবং ‘গুড লাক জেরি’-কে তারাই ‘ব্যতিক্রমী’ তকমা দিতে চান। কিন্তু কেন? বহু লোককে বলতে শুনেছি, ‘ও আচ্ছা, তুমি নারীকেন্দ্রিক সিনেমা করছ?’ যদি ‘মিলি’ না হয়ে ‘মিলন’ হত, অভিনেতাকেও কি এ কথা জিজ্ঞেস করা যেত? বিষয়টা অদ্ভুত হতো না?”
তবে পুরুষ অভিনেতার খোঁজ করতে থাকা দর্শকও যখন প্রেক্ষাগৃহে একটা ভালো সিনেমার কদর করতে পারেন, সেই দেখে আশা জাগে জাহ্নবীর। জানান, সত্যিই ভালো চিত্রনাট্য সব কিছুর উত্তর হতে পারে এখনো।
নায়িকার কথায়, “থ্রিলার হোক, অ্যাকশন হোক বা পারিবারিক সিনেমা, দিনশেষে আমরা বিভিন্ন চরিত্রের গল্প বলছি। কী বিষয়ে বলছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাতে নারীপ্রধান নাকি পুরুষ? এ কোনো প্রশ্নই নয়। সিনেমা ভালো হলে, সেটিই আসলে ‘হিরো’।”
নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে অভিনয় চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক জাহ্নবী। প্রত্যাশা রেখে জানালেন, ‘আশা রাখি, একদিন দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে। আমার সিনেমা নিয়ে আমাকে যখন বারবার জিজ্ঞেস করা হয়েছে, ‘হিরো কে?’, আমি জবাব দিয়েছি, ‘আমি’।