আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আর কোনো নারী শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বর্তমান শাসনভার গ্রহণ করা তালেবান। বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করেছে তালেবান সরকার। ইতোমধ্যে সেগুলোতে নারী শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে চিঠি ইস্যু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।
গত বছর ১৫ আগস্ট আশরাফ গনিকে হটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে তালেবান। এসেই হাইস্কুলে মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করে তারা। এবার বন্ধ করল নারীদের উচ্চশিক্ষা।
তিন মাস আগে আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। অবশ্য তাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান নারীরা। তবে সেই সময় তালেবান জানায়, উদ্ভিদবিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিং, অর্থনীতি, কৃষি বিষয় ও সাংবাদিকতায় উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন না তারা।
দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ও পুরুষদের আলাদ শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করে তালেবান। এ ছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের কেবল নারী শিক্ষকরা পাঠদান দিতে পারবেন বলে নিয়ম জারি করে তারা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের প্রবেশ ও শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, নারী শক্তিকে ভয় পায় তালেবান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সঙ্গে সংযোগ তৈরিকারী সেতু ধ্বংস করে দিয়েছে তারা।