সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা গেছে, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বেছে নেওয়া হলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের অন্তত ১২ ট্রিলিয়ন ডলার বেচে যাবে।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকেই দাবি করেন-দ্রুত পরিষ্কার জ্বালানি খাত বেছে নেওয়ার বিষয়টি খুবই ব্যয়বহুল এবং হতাশাবাদী বিষয়। এই বিষয়টি ঠিক নয়। সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গবেষকেরা বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বেছে নেওয়ার ফলে অর্থনীতিতে আরো উদ্বৃত্ত থাকবে।
অক্সফোর্ড মার্টিন স্কুলের ইনস্টিটিউট ফর নিউ ইকোনমিকসের অধ্যাপক ডোয়াইন ফারমার বিবিসিকে বলেছেন, ‘এমনকি আপনি যদি জলবায়ু নিয়ে খুব বেশি সচেতন নাও হন, তারপরও আপনি আমরা যে বিষয় নিয়ে কাজ করছি সেই বিষয়ে বিরক্ত হবেন না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মূল সিদ্ধান্ত হলো-আমাদের এখন থেকেই সবুজ জ্বালানির দিকে পূর্ণ গতিতে এগিয়ে যেতে হবে কারণ এই জ্বালানিই আমাদের অর্থ সাশ্রয় করতে যাচ্ছে।’
এই বিষয়ে ওই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ড. রুপার্ট ওয়ে বলেছেন, ‘আমাদের সর্বশেষ গবেষণা দেখিয়েছে যে, যত দ্রুত আমরা সবুজ জ্বালানি নিয়ে কাজ করতে থাকব তত দ্রুত আমাদের এই খাতে ব্যয় কমতে থাকবে।’ এরই মধ্যে, বায়ু ও সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প অনেকটাই সস্তা বিকল্প হিসেবে হাজির হয়েছে। তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এসব খাতের উৎপাদন হ্রাস পেলে কীভাবে সরবরাহ ঠিক রাখা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।- বিবিসি
পরিচয়/টিএ