রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে দিল্লি থেকে আটক করেছে পুলিশ। বেকারত্ব, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দিল্লিতে নিজ দলের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন কংগ্রেসের নেতারা। সেখান থেকে আটক করা হয়েছে তাঁদের। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসপ্রধান সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের সংসদ সদস্যরা আজ কালো পোশাক পরে সংসদে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেছেন। এ ছাড়া কংগ্রেস নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে সংসদে হইচই ও হট্টগোল সৃষ্টি হলে রাজ্যসভার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে নিজ দলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন রাহুল গান্ধী।
এদিকে কংগ্রেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতারা আজ ‘প্রধানমন্ত্রী ভবন ঘেরাও’ কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছেন। অন্যদিকে লোকসভা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্যরা ‘চলো রাষ্ট্রপতি ভবনে’ কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা করেছেন।
এসব কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির কিছু অংশে বড় ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রশাসন। বিধিনিষেধের উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশ আজ কংগ্রেসকে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিল।
বর্তমানে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ আটক অন্য কংগ্রেস নেতাদের দিল্লির কিংসওয়ে ক্যাম্পের পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে।
পুলিশের হাতে আটক হওয়ার আগে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আমরা এখন গণতন্ত্রের মৃত্যু দেখছি। প্রায় এক শতাব্দী আগে ভারত যা তিল তিল করে গড়ে তুলেছিল, আপনাদের চোখের সামনে তা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যারাই এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তাদের ওপরেই স্বৈরাচারীরা নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেছে। তাদের গ্রেপ্তার করেছে, কারাগারে পাঠিয়েছে এবং মারধর করেছে।’
রাহুল গান্ধী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘মানুষের প্রতিবাদকে দমন করাই সরকারের একমাত্র এজেন্ডা। সরকার চায় না নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, সহিংসতা ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে সমাজে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হোক।’