পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, গত ৯ মে বিক্ষোভের আলোকে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) বিরুদ্ধে যে দমন–পীড়ন শুরু হয়েছে, তাতে প্রত্যাশিত ফলের বিপরীত প্রভাব দেখবে সরকার। এতে জনগণের মধ্যে পিটিআইয়ের প্রতি সমবেদনা বাড়বে ও তাঁদের ভোটব্যাংক সমৃদ্ধ হবে।
গত বুধবার ইমরান খান একাধিক টুইট করে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, তাঁর দলের নেতাদের সরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি প্রমাণ হিসেবে সাবেক এক আইনপ্রণেতার ভিডিও হাজির করেন। ভিডিওতে সাবেক পিটিআই সংসদ সদস্য সলিম সারওয়ার জোররা অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেও দিচ্ছে না। ইমরান খান বলেন, সরকারের ‘ফ্যাসিবাদী কৌশল’ পাকিস্তানের জনগণ এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যবধান আরও বাড়াবে।
এদিকে গত বুধবার মুলতান পুলিশ সামরিক স্থাপনায় হামলায় অভিযুক্ত সন্দেহভাজন পাঁচজনকে সামরিক আইনে বিচারের জন্য কমান্ডিং কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেছে। গত ৯ মে ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দেশটির সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে শত শত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার লাহোর হাইকোর্ট পিটিআই কর্মী–সমর্থকদের গ্রেপ্তারের বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণা করে দ্রুত তাঁদের মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্র : প্রথম আলো
এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়