নিউইয়র্ক     শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠান্ডায় বাড়ছে মাথাব্যথা

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৬:৪১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ঠান্ডায় বাড়ছে মাথাব্যথা

শীতে মাথাব্যথায় ভোগেন অনেকেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই আছেন ভুক্তভোগীর তালিকায়। মাইগ্রেন, সাইনাস ও পানি কম খাওয়ার কারণে শীতে মাথাব্যথা হতে পারে। কিছু সচেতনতা পারে এ যন্ত্রণা থেকে রেহাই দিতে। পরামর্শ দিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো রেডিওলজিস্ট ডা. হেমন্ত রায় চৌধুরী

কেন হয় : প্রথমেই মাথাব্যথা কেন হচ্ছে কারণ খুঁজে বের করতে হবে। মাইগ্রেনের প্রধান লক্ষণ মাথার একপাশে ব্যথা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। মাথাব্যথার সঙ্গে বমিভাব, বমি হওয়া, মাথা ঘোরানো ও চোখে ঝাপসা দেখার মতো উপসর্গ থাকতে পারে। বেশি আলো এবং উচ্চশব্দে কষ্ট হওয়াও মাইগ্রেনের লক্ষণ। শীতে সাইনাসের সমস্যা বাড়ে। সেখান থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় পানি কম পান করা বা কম ঘুমের কারণেও শীতে মাথাব্যথা বাড়তে পারে। শীতে দিনের দৈর্ঘ্য কমে যায়। রোদে কম থাকার কারণে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে।

কী করবেন : শুরুর দিকে মাথাব্যথার কারণ খুঁজে বের করে কারণগুলো এড়িয়ে চলতে পারাটাই নিরাপদ চিকিৎসা। রোগীকে সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে কী কী কারণে ব্যথা হচ্ছে। এ জন্য ডায়েরি ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মাথাব্যথার হওয়ার আগের ২৪ ঘণ্টা কী কী ঘটেছিল, কী খাবার খেয়েছিলেন, কতটুকু পানি আর কতক্ষণ ঘুমিয়েছেন লিখে রাখুন। পাশাপাশি মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাব্য কারণ কী হতে পারে বলে আপনার মনে হচ্ছে সেটাও নোট করুন। এভাবে কিছুদিন নোট দেখে মাথাব্যথার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। প্রাথমিক অবস্থায় জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে মাথাব্যথার নিরাময় সম্ভব। নিয়মিত, অসহনীয় ব্যথা হলে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।

নিরাময় ১. মাথাব্যথা দূর করতে সঠিকভাবে বিশ্রাম ও ঘুম জরুরি। রাতে ৬-৭ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম হলে মাথাব্যথা অনেকটাই দূরে থাকবে। এ ছাড়া দিনেও টানা কাজের মধ্যে ২০-৩০ মিনিট চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন।

২. বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও অনেকে ফোন ব্যবহার করেন। এতে চোখ ও মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় না। এটা মাইগ্রেনের বড় কারণ। তাই সবার আগে যতটা সম্ভব স্ক্রিনটাইম কমাতে হবে। ব্যবহার করতে হলে ঘণ্টায় কয়েক মিনিট বিরতি নিতে হবে।

৩. তীব্র আলো, রোদ বা উচ্চশব্দ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। তবে শীতে সকালের রোদ গায়ে লাগানো খুব জরুরি। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার জন্য সকাল ৮-১০টার মধ্যে অন্তত ২০-৩০ মিনিট রোদে হাঁটা, ব্যায়াম বা খেলাধুলা করা জরুরি।

৪. নিয়মমাফিক পুষ্টিকর খাবার মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে পারে। পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। ঠান্ডার দিনে গরম তরল খাবার যেমন মসলা চা, স্যুপ মাথাব্যথায় আরাম দেবে।

৫. খেলাধুলা ও অন্যান্য বিনোদনমূলক বা সাংস্কৃতিক কাজে মন প্রফুল্ল থাকে। এতে মানসিক চাপ কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপ কম থাকলে ঘুম ও মাইগ্রেনের মতো সমস্যা দূরে থাকে। ডা. হেমন্ত রায় চৌধুরী

শেয়ার করুন