কানাডা সরকার অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার জন্য সরকারি নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছে। এ নিয়ে দেশটিতে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের এমন পদক্ষেপকে বিশ্বের সবথেকে নিপীড়নমূলক অনলাইন সেন্সরশিপ স্কিমগুলোর একটি বলে আখ্যায়িত করেছেন সমালোচকরা। এমনকি এ নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ও মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের মালিক ইলন মাস্কও। তিনি সরাসরি মন্তব্য করেছেন যে, ট্রুডো কানাডার বাক স্বাধীনতা ধ্বংসের চেষ্টা করছেন।
তার নিজের এক্স একাউন্ট থেকে তিনি এমন দাবি করে একটি পোস্ট দেন। এর আগে তিনি ট্রুডোকে নাৎসি জার্মানির প্রধান এডলফ হিটলারের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন। গত কয়েক দিনে বড় বড় বিতর্কে জড়িয়েছেন ট্রুডো। এক শিখ নেতার হত্যার জন্য ভারতকে দায়ী করে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে নিঃসঙ্গ হিসেবে আবিষ্কার করেন তিনি। এরপর পার্লামেন্টে এক নাৎসি সৈনিককে সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়ে বিশ্বের সামনে কানাডাকে ছোট করেন ট্রুডো। যদিও এ জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
শুক্রবার কানাডার একটি আদেশের অধীনে দেশটির সমস্ত অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলি সরকারি রেকর্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে করে ইউটিউব, পডকাস্টসহ অনলাইনে কন্টেন্ট তৈরি করাদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করা হয়েছে। ফলে কানাডা সরকারের এমন আদেশের সমালোচনা হচ্ছে। সাংবাদিক এবং লেখক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে বলেন, কানাডার সরকার বিশ্বের সবচেয়ে দমনমূলক অনলাইন সেন্সরশিপ পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। যার অধীনে সমস্ত অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলিকে সরকারি রেকর্ডে নিবন্ধিত করতে হবে, যাতে সরকার অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলির উপর সরকার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে পারে। গ্লেন গ্রিনওয়াল্ডের ওই পোস্ট শেয়ার করেন ইলন মাস্ক। এরপর তিনি এর ক্যাপশনে লেখেন, ট্রুডো কানাডায় বাক স্বাধীনতা শেষ করতে চান, এটা লজ্জাজনক।