চ্যাম্পিয়নস লিগে জয়, তাও আবার জুভেন্টাসের মত বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। তবুও এই জয়ের পর অস্বস্তি আর হতাশায় ডুবেছে পিএসজি। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের শেষদিনের খেলায় জুভেন্তাসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের পিএসজি। তবে গ্রুপের আরেক খেলায় ম্যাকাবি হাইফাকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে বেনফিকা। গ্রুপের রানার্স-আপ হয়ে শেষ ষোলোতে উঠাতেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে পিএসজিকে।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় দলের আক্রমণ ত্রয়ীর অন্যতম ভরসা নেইমারকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিলো ক্রিস্তোফে গ্যালতিয়েরের দল।নেইমারকে ছাড়া মাঠে নামলেও মেসি-এমবাপ্পের সমন্বয়ে গোল পেতে দেরি হয়নি পিএসজির। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই আর্জেন্টাইন তারকা মেসির পাস থেকে পাওয়া বলে দুই ডিফেন্ডারকে এরয়ে নেওয়া জোরালো শটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে।
গোল হজমের পর অবশ্য সেটি শোধ করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছে জুভেন্টাস। পিএসজির রক্ষণভাগে বেশ কয়েকবার হানা দিলেও গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মার সামনে গিয়েই আটকে যাচ্ছিলো জুভেন্টাস।
অবশেষে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় জুভেন্টাস। কুয়াদ্রাদোর নেওয়া শত আটকে দিলেও গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি ডোনারুম্মা। স্লাইড করে ফিরতি বল জালে জরান জুভেন্টাস ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি।
১-১ গোলের সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধ্বে খেলা শুরু পর থেকেই একের পর এক চেষ্টা করেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না কোনো দল। অবশেষে ৬৯ মিনিটে জুভেন্টাসের জালের ঠিকানা খুঁজে পান পিএসজির হয়ে বদলি নামা মেন্ডেস। এমবাপের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুঁকে পড়েন মেন্ডেস। কোনাকুনি শটে জুভেন্টাসের জালে বল জড়িয়ে দলকে ২-১ গলের লিদ এনে দেন মেন্ডেস। ম্যাচের বাকি সময়টা চেষ্টা করেও আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি পিএসজি। ২-১ গলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজি।
জয়ের পরও মুখটা কালো হয়েই থাকলো পিএসজির। গ্রুপের আরেক ম্যাচে ম্যাকাবি হাইফাকে ৬ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে বেনফিকা। পয়েন্ট একই হলে অ্যাওয়ে গোলে পিছিয়ে পড়ে রানার্স-আপ হয়েই চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে উঠলো পিএসজি। পিএসজির মূল শঙ্কা, আবারও নকআউট রাউন্ডের প্রথমেই রিয়াল মাদ্রিদ বা বায়ার্ন মিউনিখ বা ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা যে প্রবল।