ইরান সরকারের বিভিন্ন নীতি নারী ও মেয়ে শিশুদের অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক অভিযোগ তুলে ইরানকে জাতিসংঘের নারী বিষয়ক পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২০২২ থেকে পরবর্তী ৪ বছরের জন্য নারী বিষয়ক কমিশন- ‘স্ট্যাটাস অব উইম্যান’ এ থাকবে না ইরান। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটির ওপর বুধবার জাতিসংঘের ৫৪ সদস্যের ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল-(ইসিওএসওসি) ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ২৯ দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। চীন, রাশিয়াসহ ৮ সদস্য প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। আর ভোটে অনুপস্থিত ছিল বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ।
আরোও পড়ুন ।নারীর সংজ্ঞা বদলে দিল ক্যামব্রিজ ডিকশনারী
এদিকে ভোটের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড টুইটারে বলেছেন, ‘জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সবেমাত্র নারীর মর্যাদা সংক্রান্ত কমিশন থেকে ইরানকে অপসারণে ভোট দিয়েছে। ইরানি নারী ও কর্মীরা আমাদেরকে এটি করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এবং আজ, আমরা এটি সম্পন্ন করেছি।’
অন্যদিকে ইরান এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে। এর আগে দেশটি বলেছিল, এই ধরনের পদক্ষেপ একটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত নজির’ সৃষ্টি করবে।
ইসিওএসওসি-র ৪৫ সদস্যের নারী বিষয়ক (স্ট্যাটাস অব উইম্যান) কমিশন প্রতিবছর মার্চ মাসে বার্ষিক সভায় মিলিত হয় এবং কীভাবে লিঙ্গসমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি বিশ্বের সামনে তুলে ধরা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী বছরের লক্ষ্য ঠিক করে।
মূলত গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই বিক্ষোভে টালমাটাল ইরান। হিজাব পরার বিধান লঙ্ঘনের দায়ে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ ২২ বছর বয়সী কুর্দি ইরানি তরুণী মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশি হেফাজত থেকে কোমায় নেওয়া হয় এই তরুণীকে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাহসা আমিনি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, মাহসা আমিনিকে তেহরানে নৈতিকতা পুলিশ তার চুল সঠিকভাবে না ঢেকে রাখার অভিযোগে আটক করেছিল। তার মৃত্যুর পর থেকেই ইরানজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।