বিদেশ থেকে চীনে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন স্থগিত করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আসছে বছর ৮ জানুয়ারি থেকে এই পদক্ষেপ কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রায় তিন বছরের করোনাকালীন কঠোর বিধিনিষেধ সম্প্রতি শিথিল করতে শুরু করে বেইজিং। তারই সবশেষ পদক্ষেপ এটি। এখন থেকে কাজের উদ্দেশ্যে ও পড়াশোনার জন্য স্টাডি ভিসা নিয়ে কিংবা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান যাঁরা, তাঁদের জন্য কার্যত বন্ধ থাকা সীমান্ত পুনরায় খুলে দিচ্ছে চীন।
যদিও বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া শুরুর পর দেশটিতে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। যদিও আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। কারণ গত রোববার (২৫ ডিসেম্বর) থেকে দৈনিক করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আর প্রকাশ না করার কথা জানিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে উহানে করোনাভাইরাসের প্রথম সন্ধান মেলার পর কঠোর বিধিনিষেধ বা ‘জিরো কোভিড নীতি’ চালু ছিল দেশটিতে। কিন্তু চলতি বছরের নভেম্বরে বিক্ষোভের মুখে করোনাসংক্রান্ত কঠোর নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় বেইজিং।
তবে নভেম্বরের শেষ দিকে চীনে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হতে থাকে। সংক্রমণের ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর চাপ। জরুরি বিভাগ ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) বয়স্ক ও মধ্যবয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ‘জিরো কোভিড নীতি’ বাতিল করতে না করতেই চীনের করোনা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।