প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার আক্রমণ আরো তীব্র করলেন। এ পর্যন্ত সবচেয়ে জোরালো বক্তব্য রাখলেন তিনি।
বাইডেন তার বক্তব্যে বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান দলের প্রথম সারির প্রার্থী দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি বাইরের হুমকীর প্রতিনিধিত্ব করেন।
পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য অ্যারিজোনাতে এক ভাষণে বাইডেন ট্রাম্প-এর বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ করেন। বলেন, ট্রাম্প এমন এক ‘ভয়াবহ ধারণা’ পোষণ করেন যে তার অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা রয়েছে এবং তিনি আইনের ঊর্ধ্বে।
বাইডেন বলেন, ‘ট্রাম্প বলেন, সংবিধান তাকে ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে যা ইচ্ছে করার অধিকার দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি কখনো কোনো প্রেসিডেন্টকে মজা করেও এমনটা বলতে শুনিনি। তিনি, সংবিধান বা আমাদের সহকর্মী আমেরিকানদের প্রতি সাধারণ সেবা বা শালীনতা বোধ দ্বারা পরিচালিত নন; তিনি প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন।’
২০১৯ সালে ট্রাম্প বলেছিলেন, সংবিধানের আর্টিকেল- দুই অনুযায়ী তার এমন অধিকার রয়েছে। এই ধারায় প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার বিবরণ রয়েছে। মার্চে, ট্রাম্প তার সমর্থকদের বলেছিলেন, ‘আমিই আপনাদের ন্যায় বিচারক। আর, যারা ভুল করেছেন ও প্রতারণা করেছেন, তাদের জন্য আমি প্রতিশোধ গ্রহণকারী।’
বাইডেন অ্যারিজোনাতে ঘোষণা করেন, ‘আমেরিকায় এখন ভয়ানক কিছু ঘটছে।’ তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমেরিকার গণতন্ত্র এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার পূর্বসূরির স্লোগান ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’-এর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এটা একটা চরমপন্থী আন্দোলন। এমএজিএ আন্দোলন আমাদের গণতন্ত্রের মৌলিক বিশ্বাসকে ধারণ করে না।
বাইডেন বলেন, তারা তাদের আক্রমণ-কে গোপন করছেন না। তারা এগুলো প্রকাশ্যে প্রচার করছেন। তারা জনতার শত্রু হিসেবে মুক্ত সাংবাদিকতাকে আক্রমণ করছেন। প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করে আইনের শাসনের ওপর হামলা করছেন। ভোটারদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছন এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে উপেক্ষা-অবজ্ঞা করছেন।