বার বার মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয়ে শার্লি এবদো ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশ করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। এর শুরু ২০০৬-এ। ডেনমার্কের এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি ধর্মীয় ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় সারা বিশ্বে।
এবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তথা শিয়া ধর্মগুরু আয়াতোল্লা আলি খোমেইনির ব্যঙ্গচিত্র ছেপে আবারও বিকর্ত সৃষ্টি করে ফরাসি ব্যঙ্গপত্রিকা শার্লি এবদো। ইরান সরকারের তরফে বুধবার এ বিষয়ে ফ্রান্সকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। তেহরানের সেই সতর্কবার্তার ইঙ্গিত স্পষ্ট— শার্লি এবদো ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশে সংযত না হলে ‘পরিণতি খারাপ হবে’।
গত ডিসেম্বরে একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল শার্লি। সম্প্রতি সেগুলি প্রকাশ করা হয়। সেখানে মুসলিম দুনিয়ার অন্য নেতাদের পাশাপাশি অন্যতম প্রভাবশালী খোমেইনির ব্যঙ্গচিত্রও ছিল। কিন্তু ইরানের বিদেশমন্ত্রী হুসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের অভিযোগ, ওই ব্যঙ্গচিত্র ‘অবমাননাকর’। ইরানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস রোচেকে তলব করে এ বিষয়ে কূটনৈতিক প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।
শার্লি এবদো প্রথম সাড়া ফেলেছিল ২০০৬-এ। ডেনমার্কের এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি ধর্মীয় ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে তোলপাড় চলছিল তখন। শার্লি এবদো সেই ছবিটাই ফের ছাপে। তবে তখন তাদের দফতরে হামলা হয়নি। আক্রমণের মুখে তারা পড়েছিল আরও পাঁচ বছর পরে। ২০০৯ সালে। ২০১১-তে আবার এক বার ব্যঙ্গাত্মক প্রচ্ছদ কাহিনি ছাপা হয়। জবাবে কট্টরপন্থী কয়েক জন মুসলমান যুবক বোমা মেরে আগুন লাগিয়েছিলেন শার্লি-র দফতরে।
ধর্মীয় ব্যঙ্গচিত্র ছেপে ২০১৫ সালেও আক্রমণের শিকার হয়েছিল শার্লি এবদো। বছর দু’য়েক আগে এক পাকিস্তানি যুবক শার্লির দফতরের সামনে দু’জনকে ছুরির আঘাতে জখম করে। ঘটনাচক্রে, সে সময়ই ২০১৫-র জঙ্গি হামলার বিচারপর্ব শুরু হয়েছিল। শার্লি এবদো-ও ফের সেই ছবি ছেপে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করে। সব মিলিয়ে ব্যঙ্গচিত্র বিতর্ক নতুন করে দানা বাঁধছিলই ফ্রান্সে। তাতে ‘ঘি ঢালল’ খোমেইনি-বিতর্ক। আনন্দবাজার