গত বছর ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনায় সাক্ষ্য দিতে সমন জারি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেশনাল প্যানেল। ‘একটি নির্বাচনকে উল্টে দেয়ার চেষ্টাকারী প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আপনি। আপনি জানতেন এ ধরনের কাজ ছিল অবৈধ ও অসাংবিধানিক’।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন আইনজীবী আইনপ্রণেতাদের এই উদ্যোগকে ‘নিয়ম লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তদন্তকে আগামী মাসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ‘ধ্বংসাত্মক’ কার্যকলাপ থেকে ভোটারদের দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি এই সমনের আদেশ না মানেন তবে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সাক্ষ্যপ্রমাণ জমা দিতে তাঁর হাতে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তাকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে অবশ্যই প্যানেলের সামনে হাজির হতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য কংগ্রেস কমিটির সামনে হাজির হতে ও আর্জি অনুযায়ী দলিলপত্র জমা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস কমিটি বিষয়টিকে বিচার বিভাগে পাঠিয়ে দিতে পারে, যেটি হলে ফৌজদারি তৎপরতা শুরু হয়ে যাবে। এই একই দিনে ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননকে চার মাসের কারাদণ্ড দেয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ব্যাপারে তদন্তে অসহযোগিতা করায় তাকে এ সাজা দেয়া হয়।