চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন করোনাভাইরাসের টিকার দুই গবেষক। তারা হলেন গবেষক কাটালিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইজম্যান।
আজ সোমবার (২ অক্টোবর) নোবেল কমিটি তাদের নাম ঘোষণা করে। নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই দুই গবেষক করোনা টিকার বিকাশের অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। তারা আধুনিক সময়ে মানব-স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে ভ্যাকসিন বিকাশে অবদান রেখেছেন।
ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া মহামারি চলাকালীন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এই দুই নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর আবিষ্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এমআরএনএ কীভাবে মানুষের ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে সে সম্পর্কে জানা-বোঝায় মৌলিক পরিবর্তন এসেছে তাদের যুগান্তকারী গবেষণার মাধ্যমে।
১৯৯০ এর দশকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনির্ভার্সটি অব পেনসেলভেনিয়ায় একত্রে কাজ করতে শুরু করেন ক্যাথলিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ২০০৫ সালে ‘নিউক্লিওসাইড বেইজড মডিফিকেশন’ গবেষণার ফল প্রকাশ করেন তারা।
বিশ্বে এমআরএনএ প্রযুক্তির প্রথম করোনা টিকা আনে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োটেক। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি দুই কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে আনা টিকা ফাইজার-বায়োএনটেককে অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই প্রযুক্তির ২য় টিকা বাজারে আনে মডার্না, যা ওই বছরের ১ মে ডব্লিউএইচও’র ছাড়পত্র পায়। করোনা প্রতিরোধে উভয় টিকার কার্যকারিতা ৯৩ শতাংশের ওপর।