ইমরান খানকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরাতে কার্যক্রম শুরু করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। মূলত তোষাখানা কাণ্ডেই তাকে এ পদের অযোগ্য মনে করছে ইসিপি। এরইমধ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে জিও টিভি।
খবরে জানানো হয়েছে, পিটিআই বিদেশ থেকে অবৈধ অর্থ পেয়েছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে তা নিয়েও শুনানি শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে ইসিপির এমন আচরণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়র পিটিআই নেতারা। তারা এখন নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। কারণ, একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে কে থাকবেন তা নিয়ে অন্য কারও আইনি ক্ষমতা থাকার কথা না।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, সরকারী কর্মকর্তা বাদে সকল পাকিস্তানি নাগরিকের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা, বা সদস্য এবং নেতা হওয়ার অধিকার রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে পিটিআই চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে হিসেবে তিনি দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। একইসাথে তার নির্বাচনী আসনটিও শূন্য ঘোষণা করা হয়।